বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

মসজিদ সমূহ

 

(১) মসজিদের ফযীলত সংক্রান্ত প্রসিদ্ধ যঈফ হাদীছ :

(ক) আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) বলেন, রাসূল(সা.)বলেছেন, কোন ব্যক্তি তার বাড়ীতে সালাত আদায় করার নেকী এক সালাতের সমান, মহল্লার মসজিদে এক ওয়াক্ত সালাত আদায় করা পঁচিশ সালাতের সমান

জুমআ মসজিদের সালাত পাচশ সালাতের সমান, মসজিদে আকৃছায় এক সালাত আদায় করা ৫০ হাযার সালাতের সমান, আমার এই মসজিদেও এক সালাত ৫০ হাযার সালাতের সমান, আর মসজিদুল হারামে এক সালাত এক লক্ষ। সালাতের সমান।

 

তাহক্বীকৃ :

যঈফ। উক্ত বর্ণনার সনদে আবুল খাত্তাব দিমাক্কী ও যুরাইকৃ নামে দুই জন অপরিচিত রাবী আছে। যাদের দ্বারা দলীল গ্রহণ করা জায়েয নয়।তবে নিম্নোক্ত হাদীছটি ছহীহ।

জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, “আমার মসজিদে সালাত আদায় করা মসজিদুল হারাম ব্যতীত অন্যান্য মসজিদের চেয়ে এক হাজার সালাতের চেয়েও উত্তম।

আর মসজিদে হারামে সালাত আদায় করার ছওয়াব অন্যান্য মসজিদের চেয়ে ১ লক্ষ গুণ বেশী।

অন্য হাদীছে এসেছে, মসজিদে কুবাতে এক ওয়াক্ত সালাত আদায় করলে একটি ওমরার ছওয়াব পাওয়া যায়।

 

খ) আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূল(সা.) বলেছেন, আমার নিকট আমার উম্মতের ছওয়াব সমূহ পেশ করা হল, এমনকি খড়-কুটার ছওয়াবও, যা কেউ মসজিদ হতে বাইরে ফেলে দেয়। 

এভাবে আমার নিকট পেশ করা হল আমার উম্মতের গুনাহ সমূহ, তখন আমি এই গুনাহ অপেক্ষা বড় কোন গুনাহ দেখিনি যে, কোন ব্যক্তিকে কুরআনের একটি সূরা অথবা একটি আয়াত দেওয়া হয়েছিল, অতঃপর সে তা ভুলে গেছে।

 

তাহক্বীকৃ :

হাদীছটি যঈফ। উক্ত বর্ণনার সনদে ইবনু জুরাইজ নামে একজন মুদালিণ্ডস রাবী আছে। আলী ইবনুল মাদীনী এই বর্ণনাকে মুনকার বলেছেন। 

উল্লেখ্য যে, রাস্ট্র থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে দেয়া এবং মসজিদ থেকে থুথু মিটিয়ে দেয়া সংক্রান্ত হাদীছটি ছহীহ।


(গ) আবু উমামা বাহেলী (রাঃ) বলেন, ইয়াহুদীদের একজন আলেম নবী করীম (সা.)-কে জিজ্ঞেস করল, যমীনের মধ্যে উত্তম স্থান কোনটি? রাসূল (সা.) নীরব থাকলেন এবং বললেন, তুমি নীরব থাক যতক্ষণ জিবরীল (আঃ)আসেন। 

অতঃপর সে নীরব থাকল এবং জিবরীল (আঃ) আসলেন। তখন রাসূল (সা.) তাকে জিজ্ঞেস করলেন। জিবরীল (আঃ) উত্তরে বললেন, জিজ্ঞেসকারী অপেক্ষা জিজ্ঞাসিত ব্যক্তি অধিক জ্ঞাত নন। 

কিন্তু আমি আমার প্রভুকে জিজ্ঞেস করব। অতঃপর জিবরীল (আঃ) বললেন, হে মুহাম্মাদ (সা.)! আমি আল্লাহর  এত নিকটে হয়েছিলাম, যত নিকটে ইতিপূর্বে হইনি। 

রাসূল (সা.) জিজ্ঞেস করলেন, কিভাবে এবং কত নিকটে হয়েছিলেন? তিনি বললেন, তখন আমার মধ্যে ও তার মধ্যে মাত্র সত্তর হাযার নূরের পর্দা ছিল। 

আল্লাহ তা'আলা বলেছেন, যমীনের নিকৃষ্টতর স্থান বাজারসমূহ এবং উৎকৃষ্টতর স্থান মসজিদ সমূহ।

 

তাহক্বীকৃ :

হাদীছটি যঈফ। উক্ত বর্ণনার সনদে ওছমান ইবনু আবদুল্লাহ নামে একজন রাবী আছে। সে জাল হাদীছ বর্ণনা করত। তবে এ প্রসঙ্গে নিমের হাদীছটি ছহীহ;

 

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল(সা.) বলেন, আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম স্থান হল মসজিদ সমূহ আর সর্বনিকৃষ্ট স্থান হল বাজার সমূহ।


৩৭২. ইবনু মাজাহ হা/১৪১৩, পৃঃ ১০২; মিশকাত হা/৭৫২, পৃঃ ৭২; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৬৯৬, ২/২৩৫ পৃঃ।

৩৭৩. আলবানী, আছ-ছামারল মুস্তুতৃব, পৃঃ ৫৮০।

৩৭৪. ইবনু মাজাহ হা/১৪০৬, পৃঃ ১০২, সনদ ছহীহ; ছহীহ বুখারী হা/১১৯০, ১/১৫৯

পৃঃ (ইফাবা হা/১১১৭, ২/৩২৭ পৃঃ); মিশকাত হা/৬৯২, পৃঃ ৬৭; বঙ্গানুবাদ [ মিশকাত হা/৬৪০, ২/২১৪ পৃঃ।।

৩৭৫. ইবনু মাজাহ হা/১৪১১, পৃঃ ১০১।

৩৭৬. তিরমিযী হা/২৯১৬, ২/১১৯, ‘কুরআনের ফযীলত অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১৯;

আবুদাউদ হা/৪৬১; মিশকাত হা/৭২০, পৃঃ ৬৯; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৬৬৭,

২/২২২ পৃঃ; মিশকাতে বর্ণিত যঈফ ও জাল হাদীছ সমূহ হা/১৪৩, ১/৭৪ পৃঃ।

৩৭৭. যঈফ তিরমিযী হা/২৯১৬; যঈফ আবুদাউদ হা/৪৬১।

৩৭৮. আল-ইলালুল মুতানাহিয়াহ, পৃঃ ১১৭, হা/১৫৮।

৩৭৯, তুহফাতুল আশরাফ ৩/৩১৭ পৃঃ।।

৩৮০. ছহীহ মুসলিম হা/১২৬১; মিশকাত হা/৭০৯।

৩৮১. ইবনু হিব্বান হা/১৫৯৯; মিশকাত হা/৭৪১, পৃঃ ৭১; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৬৮৫, ২/২২৯ পৃঃ।।

 

(ঘ) ইবনু ওমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন, জুম'আ মসজিদে ফরয সালাত আদায় করা শ্রেষ্ঠ হজ্জের সমপরিমাণ ছওয়াব। 

আর নফল সালাত আদায় করা কবুল হজ্জের সমপরিমাণ ছওয়াব। 

আর অন্যান্য মসজিদের চেয়ে জুমআ মসজিদে সালাত আদায়ের ছওয়াব পাঁচশ সালাতের সমান করা হয়েছে।

 

তাহক্বীকৃ :

হাদীছটি অত্যড় যঈফ। এর সনদে ইউসুফ ইবনু যিয়াদ নামে যঈফ রাবী রয়েছে। ইমাম বুখারী তাকে মুনকার বলেছেন এবং ইমাম দারাকুত্নী তাকে বাতিলদের অদ্ভুক্ত করেছেন।

 

(ঙ) ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, কিয়ামতের দিন মসজিদগুলো ব্যতীত সমগ্র যমীন ধ্বংস হয়ে যাবে। 

সেগুলো একটি  আরেকটির সাথে জোটবদ্ধ থাকবে। উলেখ্য যে, উক্ত বর্ণনার সাথে যােগ করে বিভিন্ন বক্তারা বলে থাকেন, মসজিদের মুসুল্লিররা যতক্ষণ জান্নাতে প্রবেশ না করবে, ততক্ষণ তারাও জান্নাতে যাবে না বা ধ্বংস হবে না। উক্ত বক্তব্য বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

 

তাহক্বীকৃ :

বর্ণনাটি জাল। এর সনদে আছরাম ইবনু হাওশাব আল-হামদানী নামে একজন মিথুক রাবী আছে।

 

৩৮২. ইবনু হিব্বান হা/১৫৯৯; যঈফ আত-তারগীব হা/২০১।

৩৮৩. সিলসিলা যঈফাহ হা/৬৫০০।

৩৮৪. ছহীহ মুসলিম হা/১৫৬০, ১/২৩৬ পৃঃ (ইফাবা হা/১৪০০), ‘মসজিদ সমূহঅধ্যায়,

| অনুচ্ছেদ;-৫৩; মিশকাত হা/৬৯৬, পৃঃ ৬৮।

৩৮৫. ত্বাবারাণী কাবীর ১১/১৪৭ পৃঃ; ত্বাবারাণী আওসাত্ব হা/১৭১।

৩৮৬. সিলসিলা যঈফাহ হা/৩৮০৬, ৮/২৭৭।

 

(চ) আবু হুরায়রাহ (রাঃ) বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, তোমার যখন জান্নাতের বাগানের পাশ দিয়ে অতিক্রম করবে তখন ফল খাবে। 

রাবী বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! জান্নাতের বাগান কী? তিনি বললেন, মসজিদ সমূহ। 

আমি আবার বললাম, ফল কী? তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবর'

 

তাহক্বীকৃ :

হাদীছটি যঈফ। উক্ত হাদীছের সনদে হামীদ ইবনু আলক্বামা নামে একজন অপরিচিত রাবী আছে। সে দুর্বল।

 

(ছ) ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূল (সা.) সাত স্থানে সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন- আবর্জনা ফেলার স্থানে, যবেহখানায়, কবরস্থানে, পথিমধ্যে, গোসলখানায়, উটশালায় এবং বায়তুলল্লার ছাদে।

 

তাহক্বীকৃ :

হাদীছটি যঈফ। উক্ত হাদীছের সনদে যায়েদ ইবনু জুবাইরাহ নামে একজন দুর্বল রাবী আছে।ইবনু মাজাহ্র সনদে আবদুল্লাহ ইবনু ছালেহ রয়েছে। সেও যঈফ। 

উলেখ্য যে, কবরস্থানে ও গোসলখানায় সালাত আদায় করা যাবে না মর্মে অন্যত্র ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে।

 

৩৮৭. তৃবারাণী আওসাত হা/৪০০৯।

৩৮৮. সিলসিলা যঈফাহ হা/৭৬৫, ২/১৮৫ পৃঃ।

৩৮৯. তিরমিযী হা/৩৫০৯, ‘দু'আ সমূহ অধ্যায়; মিশকাত হা/৭২৯, পৃঃ৭০; বঙ্গানুবাদ [ মিশকাত হা/৬৭৪। ৩৯০. সিলসিলা যঈফাহ হা/২৭১০, ৬/২৩৩ পৃঃ ও হা/৩৬৫০।

৩৯১. তিরমিযী হা/৩৪৬, ১/৮১ পৃঃ; ইবনু মাজাহ হা/৭৪৬; মিশকাত হা/৭৩৮, পৃঃ ৭১;

বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৬৮২, ২/২২৮ পৃঃ।।

৩৯২. যঈফ তিরমিযী হা/৩৪৬; যঈফ ইবনে মাজাহ হা/৭৪৬; ইরওয়া হা/২৮৭, ১/৩১৯।

৩৯৩. তাহক্বীকৃ মিশকাত হা/৭৩৮, ১/২২৯ পৃঃ।

৩৯৪. তিরমিযী হা/৩১৭, ১/৭৩ পৃঃ; মিশকাত হা/৭৩৭, পৃঃ ৭০; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৬৮১, ২/২২৮ পৃঃ।।

 

(জ) মুআয বিন জাবাল (রাঃ) বলেন, নবী করীম (সা.)হীতান’-এ সালাত আদায় করতে ভালবাসতেন। রাবীদের কেউ কেউ বলেছেন, ‘হীতানঅর্থ বাগান।

 

তাহক্বীকৃ :

হাদীছটি যঈফ। উক্ত হাদীছের সনদে হাসান ইবনু আবী জাফর নামে দুর্বল রাবী আছে। ইমাম তিরমিযী বলেন, ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ সহ অন্যান্য মুহাদ্দিছগণ তাকে দুর্বল বলেছেন।

 

পাঠকের সুবিধাথে অল্প কিছু লেখা দিয়েছি। তাতে আপনাদের পড়তে সুবিধা হবে।


চলবে...........


Post a Comment

أحدث أقدم

সূরা ফাতিহা

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন সালাত আদায় করল অথচ সূরা ফাতিহা পাঠ করল না, তার সালাত অসম্পূর্ণ রয়ে গেল।

এ কথাটি তিনি তিনবার বলেন। তখন আবু হুরায়রাকে জিজ্ঞেস করা হল, আমরা যখন ইমামের পিছনে থাকি? উত্তরে তিনি বললেন, তুমি চুপে চুপে পড়।

কেননা আমি রাসূল (সা.) -কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আমি সালাতকে আমার মাঝে ও আমার বান্দার মাঝে দুই ভাগে ভাগ করেছি।

আমার বান্দার জন্য সেই অংশ যা সে চাইবে। বান্দা যখন বলে, ‘আল-হামদুলিল্লা-হি রাবিবল ‘আলামীন’ (যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি জগৎ সমূহের প্রতিপালক)। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করল। বান্দা যখন বলে, ‘আর-রহমা-নির রহীম’ (যিনি করুণাময়, পরম দয়ালু)।

তখন আল্লাহ বলেন, বান্দা আমার গুণগান করল। বান্দা যখন বলে, ‘মা-লিকি ইয়াওমিদ্দ্বীন’ (যিনি বিচার দিবসের মালিক) তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমাকে সম্মান প্রদর্শন করল। বান্দা যখন বলে, ইয়্যা-কানা‘বুদু ওয়া ইয়্যা-কানাসতাঈন (আমরা কেবল আপনারই ইবাদত করি এবং আপনার নিকটই সাহায্য প্রার্থনা করি)।

তখন আল্লাহ বলেন, এটা আমার ও আমার বান্দার মাঝে আধাআধি ভাগ (অর্থাৎ ইবাদত আমার জন্য আর প্রার্থনা বান্দার জন্য) এবং আমার বান্দার জন্য সেই অংশ রয়েছে, যা সে চাইবে।

যখন বান্দা বলে, ‘ইহদিনাছ ছিরাত্বাল মুস্তাক্বীম, ছিরা-ত্বল্লাযীনা আন‘আমতা ‘আলায়হিম, গয়রিল মাগযূবি ‘আলায়হিম ওয়ালায য-ল্লীন (আপনি আমাদের সরল পথ প্রদর্শন করুন।

তাদের পথ যাদের উপর আপনি রহম করেছেন। তাদের পথ নয় যারা অভিশপ্ত এবং পথভ্রষ্ট)। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা যা চেয়েছে তা তার জন্য’। (আমীন)।

দশটি সূরা এবং তার উচ্চারণ ও অনুবাদ

() সূরা নাস


قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ () مَلِكِ النَّاسِ () إِلهِ النَّاسِ () مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ () اَلَّذِيْ يُوَسْوِسُ فِي صُدُوْرِ النَّاسِ ()مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ ()

উচ্চারণ:- ক্বুল আঊযু বিরব্বিন্না-স। মালিকিন্না-স। ইলা-হিন্না-স। মিন্শার্রিল অসওয়া-সিল খান্না-স। আল্লাযী ইউওয়াসবিসু ফী সুদূরিন্না-স। মিনাল জিন্নাতি অন্না-

অর্থ:- তুমি বল, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি, মানুষের প্রতিপালক, মানুষের অধীশ্বর, মানুষের উপাস্যের কাছে- তার কুমন্ত্রণার অনিষ্ট হতে, যে সুযোগমত আসে (কুমন্ত্রণা দিয়ে) সরে পড়ে। যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের হৃদয়ে, জিন মানুষের মধ্য হতে

() সূরা ফালাক্ব


قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ () مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ () وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ () وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ () وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَاحَسَدَ ()

উচ্চারণ:- ক্বুল আঊযু বিরব্বিল ফালাক্ব। মিন শার্রি মা খালাক্ব। অমিন শার্রি গা-সিক্বিন ইযা অক্বাব। অমিন শার্রিন্নাফ্ফা-ষা-তি ফিল উক্বাদ। অমিন শার্রিহা-সিদিন ইযাহাসাদ

অর্থ:- তুমি বল, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি ঊষার প্রভুর নিকট। তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে। এবং রাতের অনিষ্ট হতে যখন তা গভীর অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়। এবং গ্রন্থিতে ফুত্কারিণী (যাদুকরী)দের অনিষ্ট হতে। এবং হিংসুকের অনিষ্ট হতে যখন সে হিংসা করে

() সূরা ইখলাস


قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ () اَللهُ الصَّمَدُ () لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ () وَلَمْ يَكُنْ لَّهُ كُفُواً أَحَدٌ ()

উচ্চারণ:- ক্বুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ। আল্লা-হুস সামাদ। লাম য়্যালিদ, অলাম ইউলাদ। অলাম য়্যাকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ

অর্থ:- বল, তিনি আল্লাহ একক। আল্লাহ ভরসাস্থল। তিনি জনক নন এবং জাতকও নন। আর তাঁর সমকক্ষ কেউই নেই

() সূরা লাহাব


تَبَّتْ يَدَا أَبِيْ لَهَبٍ وَّتَبَّ () مَا أَغْنى عَنْهُ مَالُهُ وَمَا كَسَبَ () سَيَصْلى نَاراً ذَاتَ لَهَبٍ () وَامْرَأَتُهُ حَمَّالَةَ الْحَطَبِ () فِيْ جِيْدِهَا حَبْلٌ مِّنْ مَّسَدٍ ()

উচ্চারণ:- তাব্বাৎ য়্যাদা আবী লাহাবিঁউঅতাব্ব মা আগনা আনহু মা-লুহু অমা কাসাব। সায়্যাস্বলা না-রান যা-তা লাহাব। অমরাআতুহুহাম্মা-লাতালহাত্বাব। ফী জীদিহাহাবলুম মিম মাসাদ

অর্থ:- ধ্বংস হোক আবূ লাহাবের দুইহাত এবং ধ্বংস হোক সে নিজেও। তার ধন-সম্পদ উপর্জিত বস্তু তার কোন উপকারে আসবে না। সে প্রবেশ করবে লেলিহান শিখাবিশিষ্ট অগ্নিকুন্ডে। আর তার স্ত্রীও -যে কাঠের বোঝা বহনকারিণী। ওর গলদেশে খেজুর চোকার রশি হবে

() সূরা নাস্বর


إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللهِ وَالْفَتْحُ () وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُوْنَ فِيْ دِيْنِ اللهِ أَفْوَاجاً () فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُإِنَّهُ كَانَ تَوَّاباً ()

উচ্চারণ:- ইযা জা- নাস্বরুল্লা-হি অল ফাতহ। অরাআইতান্না-সা ইয়্যাদখুলুনা ফী দীনিল্লা-হি আফওয়াজা। ফাসাব্বিহ্বিহামদি রাব্বিকা অস্তাগফিরহু; ইন্নাহু কা-না তাউওয়া-বা

অর্থ:- যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য বিজয়। তুমি দেখবে মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে। তখন তুমি তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা কর এবং তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল

() সূরা কা-ফিরুন


قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُوْنَ () لاَ أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُوْنَ () وَلاَ أَنْتُمْ عَابِدُوْنَ مَا أَعْبُدُ () وَلاَ أَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدْتُّمْ () وَلاَ أَنْتُمْ عَابِدُوْنَ مَا أَعْبُدُ () لَكُمْ دِيْنُكُمْ وَلِيَ دِيْنِ ()

উচ্চারণ:- ক্বুল ইয়া আই য়ুহাল কা-ফিরুন। লা- বুদু মা- তাবুদূন। অলা- আন্তুম ’-বিদূনা মা- বুদ। অলা- আনা ’-বিদুম মা বাত্তুম। অলা- আন্তুম ’-বিদূনা মা- বুদ। লাকুম দীনুকুম অলিয়া দীন

অর্থ:- বল, হে কাফের দল! আমি তার উপাসনা করি না, যার উপাসনা তোমরা কর। তোমরাও তাঁর উপাসক নও, যাঁর উপাসনা আমি করি। আমি তার উপাসক হ্ না, যার উপাসনা তোমরা কর। আর তোমরাও তাঁর উপাসক নও, যাঁর উপাসনা আমি করি। তোমাদের ধর্ম তোমাদের এবং আমার ধর্ম আমার (কাছে প্রিয়)

() সূরা কাউষার


إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ () فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ () إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الأَبْتَرُ ()

উচ্চারণ:- ইন্না- ত্বাইনা-কাল কাউষার। ফাস্বাল্লি লিরব্বিকা অন্হার। ইন্না- শা-নিআকা হুওয়াল আবতার

অর্থ:- নিঃসন্দেহে আমি তোমাকে কাউসার (হাওয) দান করেছি। সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে নামায পড় এবং কুরবানী কর। নিশ্চয় তোমার শত্রুই হল নির্বংশ

() সূরা ক্বুরাইশ


لإِيْلاَفِ قُرَيْشٍ () إِيْلاَفِهِمْ رِحْلَةَ الشِّتَاءِ وَالصَّيْفِ () فَلْيَعْبُدُوْا رَبَّ هذَا الْبَيْتِ () اَلَّذِيْ أَطْعَمَهُمْ مِنْجُوْعٍ وَّآمَنَهُمْ مِّنْ خَوْفٍ ()

উচ্চারণ:- লিঈলা-ফি ক্বুরাইশ্ঈলা-ফিহিম রিহ্লাতাশ শিতা- অস্স্বাইফ্ফাল য়্যাবুদু রব্বাহা-যাল বাইত্ আল্লাযী আত্বআমাহুম মিন জু অআ-মানাহুম মিন খাঊফ

অর্থ:- যেহেতু কুরাইশের জন্য শীত গ্রীষ্মের সফরকে তাদের স্বভাব সুলভ করা হয়েছে, সেহেতু ওরা উপাসনা করুক এই গৃহের রক্ষকের। যিনি ক্ষুধায় ওদেরকে আহার দিয়েছেন এবং ভীতি হতে নিরাপদ করেছেন

() সূরা ফীল


أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِأَصْحَابِ الْفِيْلِ () أَلَمْ يَجْعَلْ كَيْدَهُمْ فِيْ تَضْلِيْلٍ () وَأَرْسَلَ عَلَيْهِمْ طَيْراً أَبَابِيْلَ () تَرْمِيْهِمْ بِحِجَارَةٍ مِّنْ سِجِّيْلٍ () فَجَعَلَهُمْ كَعَصْفٍ مَّأْكُوْلٍ ()

উচ্চারণ:- আলাম তারা কাইফা ফাআলা রব্বুকা বিআস্বহা-বিল ফীল। আলাম য়্যাজ্আল কাইদাহুম ফী তায্বলীল। অআরসালা আলাইহিম ত্বাইরান আবা-বিল। তারমীহিম বিহিজারাতিম মিন সিজ্জীল। ফাজাআলাহুম কাআস্বফিম মাকূল

অর্থ:- তুমি কি দেখ নি, তোমার প্রতিপালক হ্স্তীবাহিনীর সঙ্গে কি করেছিলেন? তিনি কি ওদের কৌশলকে ব্যর্থ করে দেন নি? তিনি তাদের উপর ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি প্রেরণ করেন। যারা ওদের উপর নিক্ষেপ করে কঙ্কর। অতঃপর তিনি ওদেরকে ভক্ষিত তৃণসদৃশ করে দেন

(১০) সূরা আসর


وَالْعَصْرِ () إِنَّ الإِنْسَانَ لَفِيْ خُسْرٍ () إِلاَّ الَّذِيْنَ آمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ ()

উচ্চারণ:- অল আসর। ইন্নাল ইনসা-না লাফী খু সর। ইল্লাল্লাযীনা -মানূ অআমিলুস স্বা-লিহা-তি অতাওয়াস্বাউবিলহাক্বি অতাওয়াস্বাউবিসস্বাবর

অর্থ:- মহাকালের শপথ! মানুষ অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত। তবে তারা নয়, যারা ঈমান এনে সৎকর্ম করেছে এবং একে অপরকে সত্য ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে