বিসমিল্লাহির রহমানির
রহিম
সালাতের ফযীলত
এক ওয়াক্ত সালাত ছুটে গেলে এক হুকবা বা দুই কোটি অষ্টাশি লক্ষ বছর জাহান্নামে শাস্তি দেওয়া হবে :
(২) রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যদি কোন ব্যক্তি এক ওয়াক্ত সালাত ছেড়ে দেয় আর ইতিমধ্যে ঐ সালাতের ওয়াক্ত পার হয়ে যায় এবং সালাত আদায় করে নেয়, তবুও তাকে এক হুকবা জাহান্নামে শাস্তি দেওয়া হবে।
এক হুকবা হল, ৮০ বছর।
আর প্রত্যেক বছর ৩৬০ তিন। আর প্রত্যেক দিন এক হাযার বছরের সমান, যেভাবে তোমরা গণনা
কর। উলেখ্য, উক্ত হিসাব অনুযায়ী সর্বমোট দুই কোটি অষ্টাশি লক্ষ বছর হয়।
তাহক্বীকৃ :
বর্ণনাটি মিথ্যা ও বানোয়াট। উক্ত বক্তব্য তাবলীগ জামাআতের অনুসরণীয় গ্রন্থ ফাযায়েলে আমল-এর ফাযায়েলে নামায অংশে উল্লেখ করা হয়েছে।
কিন্তু সেখানে কোন প্রমাণ পেশ করা হয়নি। বরং বলা হয়েছে, ‘এভাবেই ‘মাজালিসুল আবরারে’ উলেখ করা হয়েছে।
তবে আমার নিকটে হাদীছের যে সমস্তু গ্রন্থ রয়েছে, তার মধ্যে আমি উহা পাইনি’।লেখক নিজেই যেহেতু স্বীকার করেছেন, সেহেতু আর মন্তব্যর প্রয়োজন নেই।
তবে দুঃখজনক হল,
স্পষ্ট হওয়ার পর কেন
তা রাসূল (সা.)-এর নামে বর্ণনা করতে হবে? এটা নিঃসন্দেহে তার নামে মিথ্যাচারের শামিল।
জ্ঞাতব্য :
ছহীহ হাদীছের দৃষ্টিকোণ থেকেও কথাটি সঠিক নয়। কারণ রাসূল (সা.) বলেন, ঘুম বা ভুলের কারণে যে ব্যক্তির সালাত ছুটে যাবে, তার কাফফারা হল যখন স্মরণ হবে তখন তা পড়ে নেয়া’।
এছাড়া রাসূল (সা.) এবং ছাহাবায়ে কেরাম খন্দকের যুদ্ধের দিন সূর্য ডুবার পর আছরের সালাত আদায় করেন।
অতঃপর মাগরিবের সালাত আদায় করেন।তাছাড়া ফজর সালাতও একদিন তারা সূর্যের তাপ
বাড়ার পরে পড়েছেন। তাহলে তাদের শাকিত বছর হবে? (নাউযুবিল্লাহ)।
২৫৫.
ছহীহ বুখারী ১/১৬৫ পৃঃ;
হা/১২৩৭-এর পূর্বের
আলােচনা দ্রঃ,
(ইফাবা হা/১১৬৫
এর
পূর্বের আলোচনা,
২/৩৫৫ পৃঃ), ‘জানাযা’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১।।
২৫৬.
ছহীহ বুখারী হা/৫৮২৭,
২/৮৬৭ পৃঃ, ‘পােষাক’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-২৩; ছহীহ
মুসলিম
হা/২৮৩, ১/৬৬ পৃঃ, “ঈমান অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৪২; মিশকাত হা/২৬; বঙ্গানুবাদ মিশকাত
হা/২৪, ১ম খ-, পৃঃ ২৯; ছহীহ মুসলিম হা/১৫৬, ১/৪৫ পৃঃ,
‘ঈমান অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১২; মিশকাত হা/৩৯; বঙ্গানুবাদ মিশকাত
হা/৩৫।
২৫৭.
ফাযায়েলে আমল (উর্দু),
পৃঃ ৩৯; বাংলা, পৃঃ ১১৬।
২৫৮. ফাযায়েলে আমল (উর্দু), পৃঃ ৩৯; বাংলা, পৃঃ ১১৬।
২৫৯.
ছহীহ বুখারী হা/৫৯৭,
১/৮৪ পৃঃ, (ইফাবা হা/৫৭০, ২/৩৫ পৃঃ), ছালাতের ওয়াক্ত
সমূহ
অধ্যায়,
যে ব্যক্তি ছালাত ভুল
করে’ অনুচ্ছেদ-৩৭; ছহীহ মুসলিম হা/১৫৯২, ১৫৯৮, ১৬০০, ১/২৩৮, (ইফাবা হা/১৪৩১ ও ১৪৩৬), ‘মসজিদ সমূহ’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৫৬; মিশকাত হা/৬০৩, পৃঃ ৬১ এবং হা/৬৮৪, পৃঃ ৬৬
৬৭; বঙ্গানুবাদ মিশকাত
হা/৬৩৩, ২/২০৮ পৃঃ।।
২৬০.
ছহীহ বুখারী হা/৫৯৬ ও ৫৯৮,
১/৮৪ পৃঃ, (ইফাবা হা/৫৬৯, ২/৩৫ পৃঃ), ‘ছালাতের সময় অধ্যায়, ‘ওয়াক্ত পার হয়ে
যাওয়ার পর রাসূল (ছাঃ)জামা'আতের সাথে ছালাত আদায় করেছেন অনুচ্ছেদ-৩৬; ছহীহ মুসলিম হা/১৪৬২,
১/২২৭, (ইফাবা হা/১৩০৩), ‘মসজিদ সমূহ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৩৭।
(৩)আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল ‘আছ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) একদিন সালাতের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন, যে ব্যক্তি সালাতের সংরক্ষণ করবে কিয়ামতের দিন তা তার জন্য জ্যোতি, প্রমাণ ও মুক্তির উপায় হবে।
আর যে তার হেফাযত
করবে না তার জন্য তা জ্যোতি, প্রমাণ ও মুক্তির উপায় হবে না। কিয়ামতের দিন সে কারূণ, ফেরআউন, হামান ও উবাই। ইবনু
খালাফের সাথী হবে।
তাহক্বীকৃ :
হাদীছটি যঈফ। এর সনদে ঈসা ইবনু হেলাল ছাদাফী নামক একজন দুর্বল রাবী আছে। উল্লেখ্য, উক্ত হাদীছকে তাহক্বীকে মিশকাতে ছহীহ বলা হলেও চূড়াড় তাহক্বীকে আলবানী (রহঃ) যঈফ বলেছেন।
(৪) আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে সালাত ছেড়ে দিল সে যেন প্রকাশ্য কুফুরী করল।
তাহক্বীকৃ :
হাদীছটি
যঈফ।ইমাম ত্বাবারাণী হাদীছটি যঈফ হওয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, আবু জাফর রাযী থেকে
হাশেম বিন কাসেম ছাড়া কেউ হাদীছটি বর্ণনা করেননি। মুহাম্মাদ ইবনু আবুদাউদ তার
থেকে এককভাবে বর্ণনা করেছে।
২৬১.
ছহীহ মুসলিম হা/১৫৯২,
১/২৩৮ পৃঃ, (ইফাবা হা/১৪৩১), ‘মসজিদ সমূহ’ অধ্যায়,
অনুচ্ছেদ-৫৬; মিশকাত হা/৬৮৪, পৃঃ ৬৬-৬৭; বঙ্গানুবাদ মিশকাত
হা/৬৩৩,
২/২০৮
পৃঃ।।
২৬২.
আহমাদ হা/৬৫৭৬;
মিশকাত হা/৫৭৮, পৃঃ ৫৮-৫৯; বঙ্গানুবাদ মিশকাত
হা/৫৩১,
|
২/১৬৪ পৃঃ।।
২৬৩.
যঈফ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব হা/৩১২; তারাজুউল আলবানী হা/২৯।
২৬৪.
মিশকাত হা/৫৭৮,
১/১৮৩ পৃঃ।
২৬৫.
তারাজুউল আলবানী হা/২৯।
২৬৬.
ত্বাবারাণী,
আল-মু'জামুল আওসাত হা/৩৩৪৮।
২৬৭. সিলসিলা যঈফাহ হা/২৫০৮ ও ৫১৮০; যঈফুল জামে' হা/৫৫২১; যঈফ আত
| তারগীব ওয়াত তারহীব হা/৩০৪।
২৬৮. –আল মু'জামুল আওসাত হা/৩৩৪৮; সিলসিলা যঈফাহ হা/২৫০৮।
২৬৯. কাশফুল খাফা ২/৩২ পৃঃ; তাযকিরাতুল মাওযূআত, পৃঃ ৩৮; ফাযায়েলে আমল, পৃঃ ২৯।
(৫) ছালাত হল দ্বীনের
খুঁটি। সুতরাং যে ব্যক্তি সালাত কায়েম করল সে দ্বীন প্রতিষ্ঠা করল। আর যে ব্যক্তি
সালাত ছেড়ে দিল সে দ্বীনকে ধ্বংস করল'।
তাহক্বীকৃ :
সমাজে
হাদীছটি সমধিক প্রচলিত থাকলেও ছহীহ কোন ভিত্তি নেই। ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, এটি বাতিল ও মুনকার।
(৬) রাসূল (সা.) বলেছেন, সালাত মুমিনের মি'রাজ'।
তাহক্বীকৃ:
উক্ত বর্ণনার কোন সনদ নেই। এটি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।
(৭) আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, সালাত মুমিনের নূর।
তাহক্বীকৃ :
বর্ণনাটি যঈফ। মুহাদ্দিছ হুসাইন সালীম আসাদ বলেন, উক্ত হাদীছের সনদ অত্যন্ত দুর্বল। উক্ত সনদে ঈসা ইবনু মায়সারা নামে একজন দুর্বল রাবী আছে।
উল্লেখ, সালাত নূর এবং ছাদাক্বা দলীল মর্মে ছহীহ মুসলিমে যে হাদীছ বর্ণিত
হয়েছে তা ছহীহ।
(৮) “যে ব্যক্তি জামাআতের সাথে ফজরের সালাত আদায় করে সে যেন আদম (আঃ)-এর সাথে
৫০ বার হজ্জ করে এবং যে ব্যক্তি যহোরের সালাত জামাআতের সাথে পড়ে সে যেন নূহ (আঃ)-এর সাথে ৪০
কিংবা ৩০ বার হজ্জ করে। এভাবেই অন্যান্য ওয়াক্ত সে আদায় করে।
তাহক্বীকৃ :
বর্ণনাটি জাল বা মিথ্যা।
২৭০.
কাশফুল খাফা ২/৩১ পৃঃ।।
২৭১.
তাফসীরে রাযী ১/২১৪ পৃঃ;
তাফসীরে হাক্কী ৮/৪৫৩
পৃঃ; মিরক্বাতুল মাফাতীহ
১/১৩৪
পৃঃ, ‘ঈমান অধ্যায়।
২৭২.
মুসনাদে আবী ইয়ালা হা/৩৬৫৫; ফাযায়েলে আমল,
পৃঃ ২৯।
২৭৩.
তাহক্বীকৃ মুসনাদে আবী ইয়ালা হা/৩৬৫৫।
২৭৪.
সিলসিলা যঈফাহ হা/১৬৬০।
২৭৫.
ছহীহ মুসলিম হা/৫৫৬,
১/১১৮ পৃঃ; মিশকাত হা/২৮১, পৃঃ ৩৮; বঙ্গানুবাদ
মিশকাত
হা/২৬২, ২/৩৭ পৃঃ।
২৭৬.
হাসান ইবনু মুহাম্মাদ আছ-ছাগানী, আল-মাওযূ'আত হা/৪৮, পৃঃ ৪২।।
২৭৭.
আল-মাওযূ'আত হা/৪৮, পৃঃ ৪২।
২৭৮.
ইবনু মাজাহ হা/২২৩৪,
পৃঃ ১৬১, ব্যবসা অধ্যায়, ‘বাজার সমূহ’ অনুচ্ছেদ;
মিশকাত
হা/৬৪০, পৃঃ ৬৩; বঙ্গানুবাদ মিশকাত
হা/৫৮৯, ২/১৮৯ পৃঃ।
২৭৯.
যঈফ ইবনে মাজাহ হা/২২৩৪।
(৯) সালমান ফারেসী (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (সা.) -কে বলতে
শুনেছি, যে ব্যক্তি ভোরে ফজরের সালাতের দিকে গেল, সে
ঈমানের পতাকা নিয়ে গেল। আর যে ভোরে (সালাত আদায় না করে) বাজারের দিকে গেল, সে
শয়তানের পতাকা নিয়ে গেল।
তাহক্বীকৃ :
উক্ত হাদীছের সনদ অত্যন্ত দুর্বল। এর সনদে উবাইস ইবনু মাইমুন নামক রাবী রয়েছে। ইমাম বুখারীসহ অন্যান্য মুহাদ্দিছও তাকে মুনকার বলে অভিযোগ করেছেন। ইবনু হিব্বান বলেন, সে নির্ভরযোগ্য ব্যক্তির নাম দিয়ে ধারণা পূর্বক বহু জাল হাদীছ বর্ণনা করেছে।
(১০) ইমরান ইবনু হুছাইন (রাঃ) বলেন, রাসূল (সা.) -কে একদা
জিজ্ঞেস করা হল আল্লাহর এই বাণী সম্পর্কে- “নিশ্চয়ই সালাত অশ্লীলতা ও খারাপ
কাজ থেকে বিরত রাখে। তখন তিনি বললেন, যাকে তার সালাত অশ্লীলতা ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে
না, তার সালাত হয় না।
তাহক্বীকৃ :
হাদীছটি
যঈফ। উক্ত বর্ণনার সনদে ইবনু জুনাইদ নামে একজন মিথুক রাবী রয়েছে। মুহাদ্দিছগণ
বর্ণনাটিকে মুনকার বলেছেন।
(১১) ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, যার সালাত তাকে অশ্লীলতা
ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে না, তাকে উহা ইসলাম থেকে দূরে সরে দেওয়া ছাড়া আর কিছুই বৃদ্ধি করে না।
তাহক্বীকৃ :
বর্ণনাটি
বাতিল বা মিথ্যা। এর সনদে লাইছ ইবনু আবী সালীম নামক ত্রুটিপূর্ণ রাবী রয়েছে।
জ্ঞাতব্য :
উক্ত বর্ণনাগুলো প্রমাণ করে ত্রুটিপূর্ণ কোন ব্যক্তি সালাত আদায় করলে সালাত কবুল হয় না। সুতরাং সালাত আদায় করে কোন লাভ নেই।
কিন্তু উক্ত ধারণা সঠিক নয়। বরং সালাত
আদায়ের মাধ্যমে এক সময় সে আল্লাহ অনুগ্রহে পাপ কাজ ছেড়ে দিবে। ছহীহ হাদীছ
বর্ণিত হয়েছে,
আবু
হুরায়রা (রাঃ) বলেন,
জনৈক ব্যক্তি রাসূল (সা.)-এর
নিকটে এসে বললেন,
অমুক ব্যক্তি রাত্রিতে সালাত
আদায় করে আর সকাল হলে চুরি করে। তিনি উত্তরে বললেন, সালাত তাকে অচিরেই তা থেকে বিরত রাখবে।
(১২) উম্মু রূমান বলেন, আবুবকর (রাঃ) আমাকে
একদা সালাতে ঝুঁকতে দেখে অত্যন্ত জোরে ধমক দিলেন। ফলে আমি সালাত ছেড়ে দেওয়ার
উপক্রম হলাম। তারপর তিনি বললেন, আমি রাসূল (সা.)-কে বলতে
শুনেছি, যখন তোমাদের কোন
ব্যক্তি সালাতে দাঁড়ায়,
তখন সে যেন তার শরীরকে
স্থির রাখে। ইহুদীদের মত যেন না ঝুঁকায়। কারণ সালাতের মধ্যে শরীরে সমস্তু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্থির রাখা সালাত পরিপূর্ণ হওয়ার অংশ।
তাহক্বীকৃ :
বর্ণনাটি
জাল। এর সনদে হাকাম ইবনু আব্দুলাহ নামে একজন মিথুক রাবী আছে। ইমাম আহমাদ (রহঃ)
বলেন, এর সমস্তু হাদীছই জাল।
২৮০.
মিশকাত হা/৬৪০-এর টীকা দ্রঃ।
২৮১.
তাফসীরে ইবনে কাছীর;
সিলসিলা যঈফাহ হা/৯৮৫; ফাযায়েলে আমল, পৃঃ ১৭২।
২৮২.
সিলসিলা যঈফাহ হা/৯৮৫।
২৮৩.
ফাযায়েলে আমল,
পৃঃ ১৭৩; ত্বাবারাণী, আল-মু'জামুল কাবীর হা/১০৮৬২।
২৮৪. সিলসিলা যঈফাহ হা/২, ১/৫৪ পৃঃ।
২৮৫.
আহমাদ হা/৯৭৭৭;
মিশকাত হা/১২৩৭, পৃঃ ১১০, সনদ ছহীহ; বঙ্গানুবাদ মিশকাত
হা/১১৬৮,
৩/১২১ পৃঃ।
(১৩) আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ওয়াক্ত মোতাবেক সালাত আদায় করে, ভালভাবে ওযূ করে, পূর্ণ কিয়াম, রকু- সিজদা করে ও নতা অবলম্বন করে তার সালাত আলোকউজ্জ্বল হয়ে বের হয় এবং বলে, আল্লাহ তোমাকে হেফাযত করনি যেভাবে তুমি আমাকে হেফাযত করলে।
আর যে ব্যক্তি ওয়াক্ত মত সালাত আদায় করবে না, সুন্দরভাবে ওযূ করবে না, রকু-সিজদা করবে না তার সালাত কালো কুৎসিত হয়ে বের হবে এবং বলবে, আল্লাহ তোমাকে ধ্বংস করন যেভাবে তুমি আমাকে ধ্বংস করেছ। অতঃপর সেই সালাতকে পুরান কাপড়ের মত জড়িয়ে তার মুখে মারা হবে।
তাহক্বীকৃ :
বর্ণনাটি
অত্যন্ত দুর্বল। উক্ত বর্ণনার সনদে আব্দুর রহমান ও আবু উবায়দাহ নামে দু’জন ত্রুটিপূর্ণ রাবী
রয়েছে।
২৮৬.
হিলইয়াতুল আওলিয়া;
ফাযায়েলে আমল, পৃঃ ১৭০।
২৮৭.
সিলসিলা যঈফাহ হা/২৬৯১।
২৮৮.
সিলসিলা যঈফাহ ৬/২১৪ পৃঃ।।
২৮৯.
তৃবারাণী,
আল-আওসাত্ব হা/৩০৯৫; ফাযায়েলে আমল, পৃঃ ১৬২-১৬৩।
২৯০.
যঈফ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব হা/২২১।
২৯১.
ত্বাবারাণী,
আল-আওসাত্ব হা/৩০৯৫।
২৯২.
ত্বাবারাণী,
আল-আওসাত্ব হা/৮৮৬।
২৯৩.
ফাযায়েলে আমল,
পৃঃ ১৫১।
(১৪)আবদুল্লাহ ইবনু সালাম বলেন, যখন নবী করীম (সা.)-এর পরিবারে অভাব-অনটন দেখা দিত, তখন তিনি তাদেরকে সালাত আদায় করার নির্দেশ করতেন।
অতঃপর পড়তেন, আর আপনি আপনার পরিবারকে সালাতের নির্দেশ দিন এবং আপনিও তার প্রতি অটল থাকুন (সূরা ত্বো-হা ১২৩)।
তাহক্বীকৃ :
বর্ণনাটি
যঈফ। ইমাম তাবারাণী বলেন,
আব্দুলাহ বিন সালাম
ছাড়া এই হাদীছ আর কেউ বর্ণনা করেননি। মামার এককভাবে এটা বর্ণনা করেছে।
(১৫) মুজাহিদ বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ)-কে
জনৈক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হল, যে ব্যক্তি দিনে ছিয়াম পালন করে এবং রাত্রে
তাহাজ্জুদ পড়ে কিন্তু জামা'আতে এবং জুম'আর সালাতে শরীক হয় না
তার কী হবে?
তিনি উত্তরে বললেন, সে জাহান্নামী।
তাহক্বীকৃ :
বর্ণনাটি
যঈফ।উক্ত হাদীছের সনদে লাইছ ইবনু আবী সুলাইম নামে একজন দুর্বল রাবী আছে।
(১৬) সাহল ইবনু মুআয (রাঃ) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, ঐ লোকের কাজ অত্যন্ত
যুলুম, কুফর ও শঠতাপূর্ণ যে সালাত
ও কল্যাণের দিকে আহ্বানকারীর ডাক শুনল কিন্তু মসজিদে উপস্থিত হল না।
তাহক্বীকৃ :
হাদীছটি
যঈফ।উক্ত হাদীছের সনদে ইবনু লাহিয়া ও যুবান ইবনু ফায়েদ নামে দু'জন দুর্বল রাবী আছে।
(১৭) আবু মুসলিম বলেন, আমি আবু উমামা (রাঃ)-এর নিকট গেলাম। তখন তিনি মসজিদের পোকা-মাকড় দূর করছিলেন এবং আবর্জনা ফেলে দিচ্ছিলেন।
আমি বললাম, আপনার নিকট থেকে আমার কাছে এক ব্যক্তি এই হাদীছ বর্ণনা করেছে যে, রাসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ভালভাবে ওযূ করে, দুই হাত ও মুখ ধৌত করে, মাথা ও কান মাসাহ করে অতঃপর ফরয ছালাতে দাড়ায়, আলাহ তাআলা তার ঐ দিনের সমস্তু পাপ ক্ষমা করে দেন।
যা সে হাত, কান, চোখ, চলাফেরা
এবং অসুরের কল্পনার মাধ্যমে করেছে। অতঃপর আবু উমামা বলেন, আল্লাহর কসম আমি রাসূল (সা.)এর নিকট থেকে অসংখ্য বার এই হাদীছ শুনেছি।
তাহক্বীকৃ :
বর্ণনাটি যঈফ। এর সনদে আবু মুসলিম নামে মিথুক বর্ণনাকারী রয়েছে।
(১৮) ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (সা.) বলেন, কোন ওযর
ছাড়াই যদি কেউ দুই সালাত একত্রিত করে পড়ে, তাহলে সে কাবীরা গােনাহের যে
সমস্তু দরজা রয়েছে, তার একটিতে উপনীত হল।
তাহক্বীকৃ :
হাদীছটি অত্যন্ত দুর্বল। ইমাম তিরমিযী বলেন, এর সনদে
হানাশ নামে একজন রাবী আছে। ইমাম আহমাদ সহ অন্যান্য মুহাদ্দিছগণ তাকে যঈফ বলেছেন।
(১৯) আবু হুরায়রা (রাঃ)
থেকে বর্ণিত,
রাসূল (সা.) বলেন, যার সালাত নেই ইসলামে
তার কোন অংশ নেই এবং যার ওযূ হয় না তার সালাতে হয় না।
তাহক্বীকৃ :
হাদীছটি অত্যন্ত যঈফ।উক্ত হাদীছের সনদে আবদুল্লাহ ইবনু সাঈদ ইবনু
আবু সাঈদ নামে একজন রাবী আছে। সে সকল মুহাদ্দিছের ঐকমত্যে যঈফ। উলেখ্য যে, যার ওযূ
হয় না তার সালাতে হয় না মর্মে অংশটুকু ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত।
২৯৪.
ত্বাবারাণী আল-আওসাত্ব হা/৮৮৬।
২৯৫.
তিরমিযী হা/২১৮,
১/৫২ পৃঃ; ফাযায়েলে আমল, পৃঃ ১৪০।
২৯৬.
যঈফ তিরমিযী হা/২১৮;
যঈফ আত-তারগীব ওয়াত
তারহীব হা/২৩৬ ও ৪৪৬।
২৯৭.
তাহক্বীকৃ জামেউল উছুল হা/৩৮১১ -এর টীকা দ্রঃ; আত-তুয়ুরইয়াত ৫/২১ পৃঃ।
২৯৮.
মুসনাদে আহমাদ হা/১৫৬৬৫;
তৃবারাণী হা/১৬৮০৪; ফাযায়েলে আমল, পৃঃ ১৩৮।
২৯৯, যঈফ আত-তাগীব ওয়াত
তারহীব হা/২৩৩;
যঈফুল জামে' হা/২৬৫০।
৩০০.
তাহক্বীকৃ মাজমাউয যাওয়ায়েদ হা/২১৫৯, ২/৫৪ পৃঃ; তামামুল মিন্নাহ, পৃঃ ১৫২।
৩০১.
মুসনাদে আহমাদ হা/২২৩২৬;
ফাযায়েলে আমল, পৃঃ ৭৭।
৩০২.
সিলসিলা যঈফাহ হা/৬৭১১,
১৪/৪৬৫ পৃঃ; যঈফ আত-তারগীব ওয়াত
তারহীব হা/১৩৪। ৩০৩. তিরমিযী হা/১৮৮, ১/৪৮ পৃঃ, ‘ছালাত' অধ্যায়; ত্বাবারাণী হা/১১৩৭৫; বায়হাকী
|
সুনানুল কুবরা হা/৫৭৭১; হাকেম হা/১০২০; ফাযায়েলে আমল, পৃঃ ১০০।
৩০৪.
সিলসিলা যঈফাহ হা/৪৫৮১।
৩০৫.-তিরমিযী হা/১৮৮, ১/৪৮ পৃঃ।।
৩০৬.
মুসনাদে বাযযার হা/৮৫৩৯;
ফাযায়েলে আমল, পৃঃ ১১৮।
৩০৭.
যঈফ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব হা/৩০১।
৩০৮.
মাজমাউয যাওয়ায়েদ ১/৩৬৪ পৃঃ, হা/১৬১২।
৩০৯.
আবুদাঊদ হা/১০১।
(২০) ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, যার আমানত নেই তার ঈমান নেই, যার ওযু হয় না তার সালাত হয় না, যে সালাত আদায় করে তার দ্বীন নেই। মূলতঃ দ্বীনের মধ্যে সালাতের স্থান অনুরূপ যেমন শরীরের মধ্যে মাথার স্থান।
তাহক্বীকৃ :
হাদীছটি
যঈফ। ইমাম ত্বাবারাণী বলেন,
মিনদিল ছাড়া উবায়দুলণ্টাহ
বিন ওমর থেকে এই হাদীছ কেউ বর্ণনা করেনি। আর হাসান তার থেকে এককভাবে বর্ণনা করেছে।
উলেখ্য যে,
যার আমানত নেই তার ঈমান
নেই মর্মে অন্যত্র ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে।
(২১) ইবনু আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিত,
রাসূল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি কোন এক
ওয়াক্ত সালাত ছেড়ে দিল সে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে যখন তিনি ঐ ব্যক্তির উপর
রাগান্বিত থাকবেন।
তাহক্বীকৃ :
বর্ণনাটি
যঈফ। এর সনদে সিমাক ও সাহল ইবনু মাহমূদ নামে দু’জন দুর্বল রাবী আছে।
৩১০.
ত্বাবারাণী আওসাত্ব ২/৩৮৩ পৃঃ; আল-মু'জামুছ ছাগীর হা/১৬২; মুখাব হাদীস, পৃঃ ১৯০।
(২২) আব্দুল্যাহ ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূল (সা.) বলেন, এমন তিন ব্যক্তি আছে, যাদের জন্য কিয়ামতের কঠিন কষ্টের ভয় নেই।
অন্যান্য মাখলুকের হিসাব না হওয়া পযন্ত তাদের হিসাব দিতে হবে না। এর পূর্বে তারা মেশকের টিলায় ভ্রমণ করবে।
এক- যে আল্লাহর জন্য কুরআন তেলাওয়াত করেছে, এমনভাবে ইমামতি করেছে যে মুক্তাদীরা তার উপর সন্তুষ্ট।
দুই- ঐ ব্যক্তি, যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মানুষকে সালাতের দিকে আহ্বান করে।
তিন- ঐ ব্যক্তি, যে তার মনীবের সাথে ও আয়ত্বাধীন লােকদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখে।
তাহক্বীকৃ :
হাদীছটি যঈফ। এর সনদে উছমান ইবনু কায়েস আবুল ইয়াকান ও বাশীর ইবনু আছেম নামে দু'জন দুর্বল রাবী রয়েছে।
৩১১. -যঈফ আত-তারগীব ওয়াত
তারহীব হা/২১৩;
যঈফুল জামে হা/৬১৭৮।
৩১২.
আহমাদ হা/১২৪০৬;
সনদ ছহীহ, ছহীহ তারগীব হা/৩০০৪; মিশকাত হা/৩৫।
৩১৩.
ত্বাবারাণী কাবীর হা/১১৬১৭;
মুখাব হাদীস, পৃঃ ১৯১।
৩১৪.
সিলসিলা যঈফাহ হা/৪৫৭৩।
৩১৫. ত্বাবারাণী হা/১১১৬; মুখাব হাদীস, পৃঃ ১৯৫।
৩১৬.
সিলসিলা যঈফাহ হা/৬৮১২;
যঈফ আত-তারগীব ওয়াত
তারহীব হা/৮৬৩।
(২৩) উবায়দুলণ্টাহ ইবনু সালমান থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) -এর জনৈক ছাহাবী তার নিকট হাদীছ বর্ণনা করেছে যে, আমরা যখন খায়বার বিজয় করলাম, তখন তারা তাদের গণীমত সমূহ বের করে দিল।
যার মধ্যে বিভিন্ন রকমের সম্পদ ও যুদ্ধবন্দী ছিল। লােকেরা তাদের নিকট থেকে গণীমত ক্রয় করতে লাগল।
তখন এক ব্যক্তি রাসূল (সা.) -এর নিকট এসে বলল, এই ব্যবসায় আমার যা লাভ হয়েছে অন্য কারাে এত লাভ হয়নি। রাসূল (সা.) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তােমার কত লাভ হয়েছে?
সে বলল, আমি সমানে ক্রয়-বিক্রয় করছিলাম তাতে ৩০০ উকিয়া লাভ হয়েছে। রাসূল (সা.) বলেন, আমি কি তােমাদের এর চেয়ে অধিক লাভবান হওয়া যায় এমন কথা বলব?
সে বলল, সেটা কী হে আল্লাহর রাসূল (সা.) ! তিনি বললেন, ফরয সালাতের পর দুই
রাকআত সালাত।
তাহক্বীকৃ :
হাদীছটি
যঈফ। উক্ত হাদীছের সনদে উবায়দুলণ্টাহ ইবনু সালমান নামে একজন অপরিচিত রাবী আছে।
(২৪) উবাদা ইবনু ছামেত (রাঃ) বলেন, আমার বন্ধু রাসূল (সা.) আমাকে সাতটি বিষয়ে অছিয়ত করেছেন। তিনি বলেন,
(১) তােমরা শিরক করবে না যদিও তােমাদেরকে টুকরাে টুকরাে করে হত্যা করা হয় অথবা আগুনে পােড়ানাে হয় অথবা শূলীতে চড়িয়ে হত্যা করা হয়
(২) তােমরা ইচ্ছাকৃতভাবে সালাত ছেড়ে দিও না। কারণ যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত সালাত ছেড়ে দিবে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে।
(৩) অবাধ্যতার নিকটবর্তী হয়াে। কারণ এটা আল্লাহ অসন্তুষ্টির কারণ।
(৪) মদ্যপান করাে না। কারণ উহা প্রত্যেক পাপের উৎস
(৫) মৃত্যু কিংবা জিহাদ থেকে পলায়ন করাে না,যদি তার মধ্যে পড়ে যাও
(৬) পিতা-মাতার অবাধ্য হয়াে না। যদি তারা তােমাকে দুনিয়ার সমস্ত কাজ থেকে বিরত থাকতে বলে তবুও তুমি তা থেকে বিরত থাক
(৭) তুমি তােমার পরিবার থেকে আদর্শের লাঠি তুলে নিও না এবং তােমার পক্ষ থেকে তাদের উপর ইনছাফ করাে।
তাহক্বীকৃ :
হাদীছটি যঈফ। উক্ত হাদীছের সনদে সালামাহ ইবনু শুরাইহ ও ইয়াযীদ ইবনু কৃাওযুর নামে দু’জন অপরিচিত রাবী আছে। ইমাম বুখারী ও যাহাবী তাদের অপরিচিত বলেছেন।উল্লেখ্য যে, রাসূল (সা.) তাকে দশটি নছীহত করেছিলেন বলে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে তার সনদ ছহীহ।
(২৫) আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যুর সময় আমরা সেখানে উপস্থিত ছিলাম। তিনি আমাদের বললেন, তােমরা ছালাতের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর। এটা তিনবার বললেন। অতঃপর তােমাদের দাসীদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর এবং দুই শ্রেণীর দুর্বল লােকের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর- বিধবা নারী ও ইয়াতীম বালক। তারপর তিনি বারবার বলতে থাকলেন,সালাতের ব্যাপারে তােমরা আল্লাহকে ভয় কর। আত্মা বের হওয়া পর্যড় তিনি এই সালাতের কথা বলতেই থাকলেন।
তাহক্বীকৃ :
বর্ণনাটি অত্যন্ত যঈফ। উক্ত বর্ণনার সনদে আম্মার ইবনু যুরাবী নামে মাতরূক ও মিথুক রাবী আছে। উল্লেখ্য যে, রাসূল (সা.)-এর শেষ কথা ছিল সালাত ও নারী জাতি সম্পর্কে- উক্ত মর্মে যে হাদীছ ইবনু মাজাহতে এসেছে তা ছহীহ।
৩১৭.
আবুদাউদ হা/২৭৮৫,
২/৩৮৫ পৃঃ; ফাযায়েলে আমল, পৃঃ ৮৫।
৩১৮. সিলসিলা যঈফাহ হা/২৯৪৮।
৩১৯.
আল-আহাদীছিল মুখতারাহ হা/৩৫১; ফাযায়েলে আমল,
পৃঃ ৯৬।
৩২০.
সিলসিলা যঈফাহ হা/৫৯৯১;
যঈফ আত-তারগীব ওয়াত
তারহীব হা/৩০০।
৩২১.
আহমাদ হা/২২১২৮;
ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত
তারহীব হা/৫৭০;
সনদ হাসান, মিশকাত হা/৬১, পৃঃ ১৮।
পাঠকের সুবিধাথে অল্প কিছু লেখা দিয়েছি। তাতে আপনাদের পড়তে সুবিধা হবে।
চলবে...........
Post a Comment