বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

পবিত্রতা (ওযূ ও তায়াম্মুম)

 

(৩১) ঋতুবতী বা অপবিত্র ব্যক্তিদেরকে সাধারণ কাজকর্ম করতে নিষেধ করা :

অপবিত্র ব্যক্তি সালাম-মুছাফাহা করতে পারে না, কোন বিশেষ পাত্র স্পর্শ করতে পারে না ও স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারে না বলে যে কথা সমাজে প্রচলিত আছে, তা কুসংস্কার মাত্র।

কারণ তারা স্বাভাবিকভাবে সাধারণ কাজকর্ম করতে পারে।উল্লেখ্য যে, অপবিত্র ব্যক্তি বা ঋতুবতী মহিলা কুরআন স্পর্শ না করে যিকির হিসাবে কোন অংশ মুখস্থ তেলাওয়াত করতে পারে।

তবে পবিত্র ও ওযূ অবস্থায় পাঠ করা উচিত। এটাই উত্তম।কুরআন মুখস্থও পড়া যাবে যে সমবর্ণনা রয়েছে তা ত্রটিপূর্ণ। যেমন:

(ক) ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, ঋতুবতী এবং অপবিত্র ব্যক্তি কুরআনের কোন অংশ পড়তে পারবে না।



তাহক্বীকৃ :

হাদীছটি মুনকার। ইমাম তিরমিযী বলেন, আমি ইমাম বুখারীকে বলতে শুনেছি, ইসমাঈল বিন আইয়াশ হিজায ও ইরাকের অধিবাসীদের থেকে বর্ণনা করেছে। তার হাদিসগুলো মুনকার। সে যঈফ হাদীছ বর্ণনা করেছে।

(খ) আলী (রাঃ) বলেন, রাসূল (সা.) অপবিত্র না থাকলে প্রত্যেক অবস্থাতেই তিনি আমাদের কুরআন পড়াতেন।

 

তাহক্বীকৃ :

হাদীছটি যঈফ। এর সনদে আবদুল্লাহ ইবনু সালামাহ নামে একজন দুর্বল রাবী আছে।

(গ) আলী (রাঃ) বলেন, রাসূল (সা.) পায়খানা হতে বের হয়ে আমাদেরকে কুরআন পড়াতেন এবং আমাদের সাথে গোশত খেতেন।

অপবিত্রতা ছাড়া কুরআন হতে তাঁকে কোন কিছু বাধা দিতে পারত না।

 

তাহক্বীকৃ :

হাদীছটি যঈফ। এর সনদেও আবদুল্লাহ ইবনু সালামাহ নামে একজন দুর্বল রাবী আছে।

 

১৯৫. ইবনু মাজাহ হা/৫৯৮, পৃঃ ৪৪, ‘পবিত্রতা অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১০৬।

১৯৬. যঈফ ইবনে মাজাহ হা/৫৯৮।

১৯৭. সিলসিলা যঈফাহ হা/৩৮০১, ৮/২৭২।

১৯৮. ছহীহ বুখারী হা/২৮৩, (ইফাবা হা/২৭৯, ১/১৫৯ পৃঃ), ‘গােসলঅধ্যায়, অনুচ্ছেদ

২৩; ছহীহ মুসলিম হা/৮৫০; মিশকাত হা/৪৫১, পৃঃ ৪৯; বঙ্গানুবাদ মিশকাত

হা/৪২৩, ২/১০৫ পৃঃ, ‘পবিত্রতা অধ্যায়, ‘নাপাক ব্যক্তির সাথে মিলামিশাঅনুচ্ছেদ।

১৯৯. ছহীহ বুখারী হা/৩০৫ ও ৩০৬, ১/৪৪ পৃঃ, (ইফাবা হা/২৯৯, ১/১৬৯-১৭০ পৃঃ),

ঋতুঅধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৭; মুসলিম হা/৮৫২, ১/১৬২ পৃঃ, (ইফাবা হা/৭১০), ‘ঋতুঅধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৩০; সূরা হিজর, আয়াত-৯; সিলসিলা ছহীহাহ হা/৪০৬;

মুওয়াত্তা মালেক হা/৪৬৯, সনদ ছহীহ, ইরওয়াউল গালীল হা/১২২, ১/১৬১ পৃঃ।

২০০. আবুদাউদ হা/১৭, ১/৪ পৃঃ; সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ হা/৮৩৪; মিশকাত হা/৪৬৭, পৃঃ ৫০; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৪৩৮, ২/১১০ পৃঃ, ‘নাপাক ব্যক্তির সাথে মিলামিশাঅনুচ্ছেদ; শায়খ বিন বায, মাজমূউ ফাতাওয়া ২৬/৯৯; ফাতাওয়া

উছায়মীন।

২০১. তিরমিযী হা/১৩১; মিশকাত হা/৪৬১; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৪৩২, ২/১০৮। ২০২. -যঈফ তিরমিযী হা/১৩১।

 

(৩২) পবিত্রতা সম্পর্কে প্রসিদ্ধ কয়েকটি যঈফ ও জাল হাদীছ :

নিম্নে কয়েকটি বর্ণনা পেশ করা হল, যেগুলো মানুষের মুখে মুখে খুবই প্রচলিত। অথচ তা যঈফ ও জাল বর্ণনা। এ সমস্তু বর্ণনা প্রচার করা উচিত নয়।।

(ক) আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ছাঃ) যখন টয়লেটে প্রবেশ করতেন তখন আংটি খুলে রাখতেন।

 

তাহক্বীকৃ :

হাদীছটি মুনকার ও যঈফ। ইমাম আবুদাউদ বলেন, “এই হাদীছ মুনকার বা অগ্রহণযোগ্য।

(খ) ঈসা ইবনু ইয়াযদাদ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ পেশাব করে তখন সে যেন পুরষাঙ্গ তিনবার ঝেড়ে নেয়।

 

তাহক্বীকৃ :

হাদীছটি যঈফ। এর সনদে যামআহ ইবনু ছালেহ আল-জুনদী ও ঈসা ইবনু ইয়াযদাদ নামক দুইজন দুর্বল রাবী আছে।

উল্লেখ যে, উক্ত বর্ণনার মধ্যে অনেকে পেশাব করার পর নাচানাচির দলীল খুঁজেন, যা মূর্খতা ছাড়া কিছু নয়।

 

 (গ) আবু রাফে (রাঃ) বলেন, রাসূল (সা.) যখন সালাতের জন্য ওযূ করতেন, তখন আপন আঙ্গুলে পরিহিত আংটিকে নেড়ে দিতেন।

 

তাহক্বীকৃ :

হাদীছটি যঈফ। এর সনদে মামার ও তার পিতা মুহাম্মাদ ইবনু উবায়দুলণ্টাহ নামে দুইজন দুর্বল রাবী আছে।

(ঘ) আয়েশা (রাঃ) বলেন, একদা রাসূল (সা.) বললেন, এই সকল ঘরের দরজা মসজিদের দিক হতে (অন্য দিকে) ফিরিয়ে দাও।

কারণ আমি মসজিদকে ঋতুবতী ও নাপাক ব্যক্তির জন্য জায়েয মনে করি না।

 

তাহক্বীকৃ:

হাদীছটি যঈফ। এর সনদে জাসরা বিনতে দিজাজা নামক একজন বর্ণনাকারী আছে। সে অত্যধিক ত্রুটিপূর্ণ।

 (ঙ) আলী (রাঃ) বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, (রহমতের) ঐ ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করে না, যাতে কোন ছবি রয়েছে অথবা কুকুর বা নাপাক ব্যক্তি রয়েছে।

 

তাহক্বীকৃ :

হাদীছটি যঈফ। তবে হাদীছের প্রথমাংশ ছহীহ। কারণ যে ঘরে প্রাণীর ছবি, মূর্তি থাকে এবং কুকুর থাকে সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না মর্মে ছহীহ হাদীছ রয়েছে।

 

২০৩. আহমাদ, আবুদাউদ, তিরমিযী, ইবনু হিব্বান, বুলুগুল মারাম হা/১০০।

২০৪. যঈফ তিরমিযী হা/১৪৬।

২০৫. ইরওয়াউল গালীল ২/২৪১ পৃঃ।

২০৬. আবুদাউদ হা/২২৯; নাসাঈ হা/২৬৫; মিশকাত হা/৪৬০, পৃঃ ৪৯; বঙ্গানুবাদ

মিশকাত হা/৪৩১, ২/১০৭।

২০৭. ইরওয়াউল গালীল হা/৪৮৫, ২/২৪১ পৃঃ।

২০৮. আবুদাঊদ হা/১৯; তিরমিযী হা/১৭৪৬; নাসাঈ হা/৫২১৩; মিশকাত হা/৩৪৩;

| বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩১৬, ২/৬২।

২০৯. যঈফ আবুদাউদ হা/১৯ -• "

২১০. ইবনু মাজাহ হা/৩২৬, পৃঃ ২৮; বুলুগুল মারাম হা/৯০।

২১১. তাহক্বীক মুসনাদ হা/১৯০৭৬; যঈফ ইবনু মাজাহ হা/৩২৬; সিলসিলা যঈফাহ হা/১৬২১।

২১২. দারাকুত্নী ১/৯৪; ইবনু মাজাহ হা/৪৪৯; মিশকাত হা/৪২৯; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩৯৫।।

২১৩. যঈফ ইবনু মাজাহ হা/৪৪৯; যঈফুল জামে' হা/৪৩৬১।।

২১৪. আবুদাউদ হা/২৩২; মিশকাত হা/৪৬২; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৪৩৩, ২/১০৮ পৃঃ।

২১৫. -যঈফ আবুদাউদ হা/২৩২; ইরওয়াউল গালীল হা/১২৪, ১৯৩, ৯৬৮।

২১৬. আবুদাউদ হা/২২৭, ৪১৫২; নাসাঈ হা/২৬১; মিশকাত হা/৪৬৩; বঙ্গানুবাদ

মিশকাত হা/৪৩৪, ২/১০৮।

২১৭. যঈফ আবুদাউদ হা/২২৭; মিশকাতে বর্ণিত যঈফ ও জাল হাদীছ সমূহ হা/১১২, ১/৬৩ পৃঃ।।

২১৮. ছহীহ বুখারী হা/৩২২৭, ৩২২৪, ৩২২৫, ১ম খ-, পৃঃ ৪৫৮, ‘সৃষ্টির সূচনা

অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৭; মিশকাত হা/৪৪৮৯, পৃঃ ৩৮৫।

২১৯. ইবনু মাজাহ হা/৬৬৪; মিশকাত হা/৪৪৯।


 

পাঠকের সুবিধাথে অল্প কিছু লেখা দিয়েছি। তাতে আপনাদের পড়তে সুবিধা হবে।

চলবে...........

Post a Comment

أحدث أقدم

সূরা ফাতিহা

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন সালাত আদায় করল অথচ সূরা ফাতিহা পাঠ করল না, তার সালাত অসম্পূর্ণ রয়ে গেল।

এ কথাটি তিনি তিনবার বলেন। তখন আবু হুরায়রাকে জিজ্ঞেস করা হল, আমরা যখন ইমামের পিছনে থাকি? উত্তরে তিনি বললেন, তুমি চুপে চুপে পড়।

কেননা আমি রাসূল (সা.) -কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আমি সালাতকে আমার মাঝে ও আমার বান্দার মাঝে দুই ভাগে ভাগ করেছি।

আমার বান্দার জন্য সেই অংশ যা সে চাইবে। বান্দা যখন বলে, ‘আল-হামদুলিল্লা-হি রাবিবল ‘আলামীন’ (যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি জগৎ সমূহের প্রতিপালক)। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করল। বান্দা যখন বলে, ‘আর-রহমা-নির রহীম’ (যিনি করুণাময়, পরম দয়ালু)।

তখন আল্লাহ বলেন, বান্দা আমার গুণগান করল। বান্দা যখন বলে, ‘মা-লিকি ইয়াওমিদ্দ্বীন’ (যিনি বিচার দিবসের মালিক) তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমাকে সম্মান প্রদর্শন করল। বান্দা যখন বলে, ইয়্যা-কানা‘বুদু ওয়া ইয়্যা-কানাসতাঈন (আমরা কেবল আপনারই ইবাদত করি এবং আপনার নিকটই সাহায্য প্রার্থনা করি)।

তখন আল্লাহ বলেন, এটা আমার ও আমার বান্দার মাঝে আধাআধি ভাগ (অর্থাৎ ইবাদত আমার জন্য আর প্রার্থনা বান্দার জন্য) এবং আমার বান্দার জন্য সেই অংশ রয়েছে, যা সে চাইবে।

যখন বান্দা বলে, ‘ইহদিনাছ ছিরাত্বাল মুস্তাক্বীম, ছিরা-ত্বল্লাযীনা আন‘আমতা ‘আলায়হিম, গয়রিল মাগযূবি ‘আলায়হিম ওয়ালায য-ল্লীন (আপনি আমাদের সরল পথ প্রদর্শন করুন।

তাদের পথ যাদের উপর আপনি রহম করেছেন। তাদের পথ নয় যারা অভিশপ্ত এবং পথভ্রষ্ট)। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা যা চেয়েছে তা তার জন্য’। (আমীন)।

দশটি সূরা এবং তার উচ্চারণ ও অনুবাদ

() সূরা নাস


قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ () مَلِكِ النَّاسِ () إِلهِ النَّاسِ () مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ () اَلَّذِيْ يُوَسْوِسُ فِي صُدُوْرِ النَّاسِ ()مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ ()

উচ্চারণ:- ক্বুল আঊযু বিরব্বিন্না-স। মালিকিন্না-স। ইলা-হিন্না-স। মিন্শার্রিল অসওয়া-সিল খান্না-স। আল্লাযী ইউওয়াসবিসু ফী সুদূরিন্না-স। মিনাল জিন্নাতি অন্না-

অর্থ:- তুমি বল, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি, মানুষের প্রতিপালক, মানুষের অধীশ্বর, মানুষের উপাস্যের কাছে- তার কুমন্ত্রণার অনিষ্ট হতে, যে সুযোগমত আসে (কুমন্ত্রণা দিয়ে) সরে পড়ে। যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের হৃদয়ে, জিন মানুষের মধ্য হতে

() সূরা ফালাক্ব


قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ () مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ () وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ () وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ () وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَاحَسَدَ ()

উচ্চারণ:- ক্বুল আঊযু বিরব্বিল ফালাক্ব। মিন শার্রি মা খালাক্ব। অমিন শার্রি গা-সিক্বিন ইযা অক্বাব। অমিন শার্রিন্নাফ্ফা-ষা-তি ফিল উক্বাদ। অমিন শার্রিহা-সিদিন ইযাহাসাদ

অর্থ:- তুমি বল, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি ঊষার প্রভুর নিকট। তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে। এবং রাতের অনিষ্ট হতে যখন তা গভীর অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়। এবং গ্রন্থিতে ফুত্কারিণী (যাদুকরী)দের অনিষ্ট হতে। এবং হিংসুকের অনিষ্ট হতে যখন সে হিংসা করে

() সূরা ইখলাস


قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ () اَللهُ الصَّمَدُ () لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ () وَلَمْ يَكُنْ لَّهُ كُفُواً أَحَدٌ ()

উচ্চারণ:- ক্বুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ। আল্লা-হুস সামাদ। লাম য়্যালিদ, অলাম ইউলাদ। অলাম য়্যাকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ

অর্থ:- বল, তিনি আল্লাহ একক। আল্লাহ ভরসাস্থল। তিনি জনক নন এবং জাতকও নন। আর তাঁর সমকক্ষ কেউই নেই

() সূরা লাহাব


تَبَّتْ يَدَا أَبِيْ لَهَبٍ وَّتَبَّ () مَا أَغْنى عَنْهُ مَالُهُ وَمَا كَسَبَ () سَيَصْلى نَاراً ذَاتَ لَهَبٍ () وَامْرَأَتُهُ حَمَّالَةَ الْحَطَبِ () فِيْ جِيْدِهَا حَبْلٌ مِّنْ مَّسَدٍ ()

উচ্চারণ:- তাব্বাৎ য়্যাদা আবী লাহাবিঁউঅতাব্ব মা আগনা আনহু মা-লুহু অমা কাসাব। সায়্যাস্বলা না-রান যা-তা লাহাব। অমরাআতুহুহাম্মা-লাতালহাত্বাব। ফী জীদিহাহাবলুম মিম মাসাদ

অর্থ:- ধ্বংস হোক আবূ লাহাবের দুইহাত এবং ধ্বংস হোক সে নিজেও। তার ধন-সম্পদ উপর্জিত বস্তু তার কোন উপকারে আসবে না। সে প্রবেশ করবে লেলিহান শিখাবিশিষ্ট অগ্নিকুন্ডে। আর তার স্ত্রীও -যে কাঠের বোঝা বহনকারিণী। ওর গলদেশে খেজুর চোকার রশি হবে

() সূরা নাস্বর


إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللهِ وَالْفَتْحُ () وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُوْنَ فِيْ دِيْنِ اللهِ أَفْوَاجاً () فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُإِنَّهُ كَانَ تَوَّاباً ()

উচ্চারণ:- ইযা জা- নাস্বরুল্লা-হি অল ফাতহ। অরাআইতান্না-সা ইয়্যাদখুলুনা ফী দীনিল্লা-হি আফওয়াজা। ফাসাব্বিহ্বিহামদি রাব্বিকা অস্তাগফিরহু; ইন্নাহু কা-না তাউওয়া-বা

অর্থ:- যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য বিজয়। তুমি দেখবে মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে। তখন তুমি তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা কর এবং তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল

() সূরা কা-ফিরুন


قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُوْنَ () لاَ أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُوْنَ () وَلاَ أَنْتُمْ عَابِدُوْنَ مَا أَعْبُدُ () وَلاَ أَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدْتُّمْ () وَلاَ أَنْتُمْ عَابِدُوْنَ مَا أَعْبُدُ () لَكُمْ دِيْنُكُمْ وَلِيَ دِيْنِ ()

উচ্চারণ:- ক্বুল ইয়া আই য়ুহাল কা-ফিরুন। লা- বুদু মা- তাবুদূন। অলা- আন্তুম ’-বিদূনা মা- বুদ। অলা- আনা ’-বিদুম মা বাত্তুম। অলা- আন্তুম ’-বিদূনা মা- বুদ। লাকুম দীনুকুম অলিয়া দীন

অর্থ:- বল, হে কাফের দল! আমি তার উপাসনা করি না, যার উপাসনা তোমরা কর। তোমরাও তাঁর উপাসক নও, যাঁর উপাসনা আমি করি। আমি তার উপাসক হ্ না, যার উপাসনা তোমরা কর। আর তোমরাও তাঁর উপাসক নও, যাঁর উপাসনা আমি করি। তোমাদের ধর্ম তোমাদের এবং আমার ধর্ম আমার (কাছে প্রিয়)

() সূরা কাউষার


إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ () فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ () إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الأَبْتَرُ ()

উচ্চারণ:- ইন্না- ত্বাইনা-কাল কাউষার। ফাস্বাল্লি লিরব্বিকা অন্হার। ইন্না- শা-নিআকা হুওয়াল আবতার

অর্থ:- নিঃসন্দেহে আমি তোমাকে কাউসার (হাওয) দান করেছি। সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে নামায পড় এবং কুরবানী কর। নিশ্চয় তোমার শত্রুই হল নির্বংশ

() সূরা ক্বুরাইশ


لإِيْلاَفِ قُرَيْشٍ () إِيْلاَفِهِمْ رِحْلَةَ الشِّتَاءِ وَالصَّيْفِ () فَلْيَعْبُدُوْا رَبَّ هذَا الْبَيْتِ () اَلَّذِيْ أَطْعَمَهُمْ مِنْجُوْعٍ وَّآمَنَهُمْ مِّنْ خَوْفٍ ()

উচ্চারণ:- লিঈলা-ফি ক্বুরাইশ্ঈলা-ফিহিম রিহ্লাতাশ শিতা- অস্স্বাইফ্ফাল য়্যাবুদু রব্বাহা-যাল বাইত্ আল্লাযী আত্বআমাহুম মিন জু অআ-মানাহুম মিন খাঊফ

অর্থ:- যেহেতু কুরাইশের জন্য শীত গ্রীষ্মের সফরকে তাদের স্বভাব সুলভ করা হয়েছে, সেহেতু ওরা উপাসনা করুক এই গৃহের রক্ষকের। যিনি ক্ষুধায় ওদেরকে আহার দিয়েছেন এবং ভীতি হতে নিরাপদ করেছেন

() সূরা ফীল


أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِأَصْحَابِ الْفِيْلِ () أَلَمْ يَجْعَلْ كَيْدَهُمْ فِيْ تَضْلِيْلٍ () وَأَرْسَلَ عَلَيْهِمْ طَيْراً أَبَابِيْلَ () تَرْمِيْهِمْ بِحِجَارَةٍ مِّنْ سِجِّيْلٍ () فَجَعَلَهُمْ كَعَصْفٍ مَّأْكُوْلٍ ()

উচ্চারণ:- আলাম তারা কাইফা ফাআলা রব্বুকা বিআস্বহা-বিল ফীল। আলাম য়্যাজ্আল কাইদাহুম ফী তায্বলীল। অআরসালা আলাইহিম ত্বাইরান আবা-বিল। তারমীহিম বিহিজারাতিম মিন সিজ্জীল। ফাজাআলাহুম কাআস্বফিম মাকূল

অর্থ:- তুমি কি দেখ নি, তোমার প্রতিপালক হ্স্তীবাহিনীর সঙ্গে কি করেছিলেন? তিনি কি ওদের কৌশলকে ব্যর্থ করে দেন নি? তিনি তাদের উপর ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি প্রেরণ করেন। যারা ওদের উপর নিক্ষেপ করে কঙ্কর। অতঃপর তিনি ওদেরকে ভক্ষিত তৃণসদৃশ করে দেন

(১০) সূরা আসর


وَالْعَصْرِ () إِنَّ الإِنْسَانَ لَفِيْ خُسْرٍ () إِلاَّ الَّذِيْنَ آمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ ()

উচ্চারণ:- অল আসর। ইন্নাল ইনসা-না লাফী খু সর। ইল্লাল্লাযীনা -মানূ অআমিলুস স্বা-লিহা-তি অতাওয়াস্বাউবিলহাক্বি অতাওয়াস্বাউবিসস্বাবর

অর্থ:- মহাকালের শপথ! মানুষ অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত। তবে তারা নয়, যারা ঈমান এনে সৎকর্ম করেছে এবং একে অপরকে সত্য ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে