বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
পবিত্রতা (ওযূ ও তায়াম্মুম)
(৮) ওযূর অবশিষ্ট পানি দ্বারা ইজ্ঞিা করা যাবে না এবং ইজ্ঞিা করার পর অবশিষ্ট পানি দ্বারা ওযু করা যাবে না বলে ধারণা করা :
উক্ত
বিশ্বাস সঠিক নয়।রাসূলুল্লাহ (সা.)ও ছাহাবায়ে কেরামের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোন
নির্দেশনা পাওয়া যায় না।
বরং তারা যে পাত্রে ওযূ করতেন সে পাত্রের পানি দ্বারা
ইঙ্খিাও সম্পন্ন করতেন।
উলেশ্লখ্য যে, আবুদাউদ ও নাসাঈতে হাসান সনদে বর্ণিত হয়েছে, একদা রাসূলুল্লাহ (সা.)যে
পাত্রের পানিতে ইঞ্জিা করেন, তার বিপরীত পাত্রে ওযূ করেন।
মূলতঃ পাত্রের পানি শেষ হয়ে গিয়েছিল বলেই অন্য পাত্র তাঁকে দেওয়া হয়েছিল। মুহাদ্দিছগণ এমনটিই বলেছেন।
২/৬৮ পৃঃ; ছহীহ নাসাঈ হা/১৬৮; মিশকাত হা/৩৬১, পৃঃ ৪৩; বঙ্গনুবাদ মিশকাত
হা/৩৩৪, ২/৬৭ পৃঃ।
৯৪. ছহীহ বুখারী হা/১৫০-১৫২, (ইফাবা হা/১৫২, ১/১০২ পৃঃ); ছহীহ মুসলিম হা/৬৪৩;মিশকাত হা/৩৪২; ছহীহ মুসলিম হা/৫৭৮; ১/১২৩ পৃঃ; মিশকাত হা/৩৯৪, ৪১১; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩৬২, ২য় খ, পৃঃ ৭৭; আবুদাউদ হা/১৬৮; মিশকাত হা/৩৬১, পৃঃ ৪৩; বুখারী হা/১৮৭-এর অনুচ্ছেদ দ্রঃ ১/৩১ পৃঃ।
(৯) পেশাব-পায়খানা থেকে বের হওয়ার পর ‘আল-হামদুলিলণ্ডাহিলঞ্চাযি আযহাবা আনিল আযা ওয়া ‘আফানী’ দুআ পাঠ করা :
টয়লেট সারার পর বলবে, ‘গুফরা-নাকা’, যা ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত।
আল-হামদুলিলণ্ডা-হিলণ্ডাযি.. মর্মে বর্ণিত হাদীছ যঈফ।
আনাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (সা.)যখন পায়খানা থেকে বের হতেন তখন বলতেন, ঐ আল্লাহর যাবতীয় প্রশংসা, যিনি আমার কষ্ট দূর করেছেন ও আমাকে সুস্থ করেছেন।
তাহক্বীকৃ :
উক্ত বর্ণনার সনদে ইসমাঈল ইবনু মুসলিম নামে একজন রাবী আছে, সে মুহাদ্দিছগণের ঐকমত্যে যঈফ।
(১০) ওযুর শুরুতে মুখে নিয়ত বলা :
মুখে
নিয়ত বলার শারঈ কোন বিধান নেই। রাসূলুল্লাহ (সা.)ও ছাহাবায়ে কেরাম থেকে এ ধরনের
কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না।
এটি মানুষের তৈরী বিধান। অতএব তা পরিত্যাগ করে মনে মনে নিয়ত করতে হবে।
উলেণ্ডখ্য
যে,মাওলানা
আশরাফ আলী থানভী (রহঃ)-এর নামে প্রকাশিত ‘পূর্ণাঙ্গ নামায শিক্ষা ও যরূরী
মাসআলা মাসায়েল’ নামক বইয়ে বলা হয়েছে যে, ক্বিবলার দিকে মুখ করে উঁচু
স্থানে বসে ওযু করতে হবে।
অথচ উক্ত কথার প্রমাণে কোন দলীল পেশ করা হয়নি। উক্ত দাবী ভিত্তিহীন।
৯৫. আবুদাউদ হা/৪৫, ১/৭ পৃঃ; নাসাঈ হা/৯৪; মিশকাত হা/৩৬০, পৃঃ ৪৩; বঙ্গানুবাদ
মিশকাত হা/৩৩৩, ২/৬৬ পৃঃ, ‘পেশাব-পায়খানার শিষ্টাচার’ অনুচ্ছেদ।
৯৬.-আলণ্টামা মুহাম্মদ শামসুল হক আযীমাবাদী, আওনুল মা'বুদ শরহে সুনানে আবী দাউদ (বৈরত : দারল কুতুব আল-ইলমিইয়াহ, ১৪১৫ হিঃ),১ম খ2, পৃঃ ৪৫।
৯৭. ছহীহ আবুদাউদ হা/৩০, ১/৫ পৃঃ; তিরমিযী হা/৭, ১/৭ পৃঃ।।
৯৮. ইবনু মাজাহ হা/৩০১, পৃঃ ২৬; মিশকাত হা/৩৭৪, পৃঃ ৪৪; বঙ্গানুবাদ মিশকাত
হা/৩৪৫, ২/৭০ পৃঃ; বঙ্গানুবাদ সুনানু ইবনে মাজাহ (ঢাকা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন
বাংলাদেশ, দ্বিতীয় সংস্করণ : ডিসেম্বর ২০০৫), হা/৩০১, ১ম খ-, পৃঃ ১৪৯-১৫০।
৯৯. যঈফ ইবনু মাজাহ হা/৩০১।
১০০. ছহীহ বুখারী হা/১; ছহীহ মুসলিম হা/৫০৩৬; মিশকাত হা/১।
পাঠকের সুবিধাথে অল্প কিছু লেখা দিয়েছি। তাতে আপনাদের পড়তে সুবিধা হবে।
চলবে...........
Post a Comment