বিসমিল্লাহির রহমানির
রহিম
মসজিদ সমূহ
(১২) মসজিদে উচ্চৈঃস্বরে কথা বলা :
মসজিদ সালাতের স্থান। এখানে কণ্ঠ উঁচু করে কথা বলা চলে না। এতে মসজিদের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়। বিশেষ করে জামাআত শুরুর আগে যে মসজিদ বাজারে পরিণত হয়, তা থেকে রাসূল (সা.) কঠোর ভাষায় নিষেধ করেছেন।
জনৈক ব্যক্তি জোরে কথা বললে রাসূল (সা.) রেগে বাড়ী
থেকে বেরিয়ে তাকে এসে ধমক দেন। ওমর (রাঃ) এজন্য দুই ব্যক্তিকে শাসিয়ে দেন তোমরা
যদি এই মদীনা শহরের বাসিন্দা হতে, তবে মসজিদে উচ্চৈঃস্বরে কথা বলার কারণে আমি দু’জনকেই কঠোর শাস্তি
দিতাম।
(১৩) মসজিদে হারানো বিজ্ঞপ্তি ও মৃত্যু সংবাদ প্রচার করা :
এটা
সম্পূর্ণ শরী'আত বিরােধী এবং মসজিদের
মর্যাদার পরিপন্থী।
আবু হুরায়রাহ (রাঃ) বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি অন্য কাউকে মসজিদে হারানো জিনিষ খোজ করতে শুনবে, সে যেন বলে, আল্লাহ যেন তোমাকে ফেরত না দেন। কারণ মসজিদ সমূহ এ জন্য তৈরি করা হয়নি।
মৃত্যু সংবাদ প্রচার করা জাহেলী আদর্শ। এ ব্যাপারে রাসূল (সা.) কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। হুযায়ফাহ (রাঃ) বলেন, রাসূল (সা.) মৃত্যু সংবাদ প্রচার করতে নিষেধ করেছেন।
মৃত্যু সংবাদ প্রচারের নামে শােক প্রকাশ করে কোন লাভ হয় না। শুধু লোক দেখানোই হয়। তার প্রমাণ হল, সব জানাযাতে লোকের সংখ্যা এক রকম হয় না।
কারো জানাযায় হাজার হাজার লোক হয়, আবার কারো জানাযায় একশ’ লোকও জুটে না। অথচ সব মাইয়েতের জন্যই মাইকিং করা হয়। সুতরাং এতে কোন ফায়েদা নেই।
এটা মূলতঃ ব্যক্তির প্রসিদ্ধি ও গুণের কারণ। তাছাড়া শুভাকাঙ্খী হলে এমনিতেই সে মৃত্যু সংবাদ শুনতে পাবে, মাইকিং করে জানানো লাগবে না।
উলেখ্য যে, মারা যাওয়ার পূর্বে প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত তার উত্তরসূরী ও আত্মীয়-স্বজনকে অছিয়ত করে যাওয়া, যেন তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিদআতী কর্মকাঅনুষ্ঠিত না হয়।
বিশেষ করে বিলাপ করা ও বিভিন্ন কথার মাধ্যমে শােক প্রকাশ করা। কারণ সাবধান করে না গেলে বা এর প্রতি সন্তুষ্ট থাকলে এ জন্য তাকে কবরে শাস্তি ভােগ করতে হবে। রাসূল (সা.) বলেন,
তোমরা কি শুননি, নিশ্চয়ই আল্লাহ চোখের কান্না ও অসুরের চিড়র কারণে শাড়ি দিবেন না; বরং তিনি শাস্তি দিবেন এর কারণে।
অতঃপর তিনি তার জিহ্বার দিকে ইঙ্গিত করলেন। অথবা তার উপর রহম করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ মাইয়েতকে তার পরিবারের কান্নার কারণে শাস্তি দেন।
ওমর (রাঃ) এজন্য লাঠিপেটা করতেন, পাথর মারতেন এবং মাটি নিক্ষেপ করতেন।
৪৪৫.
ছহীহ মুসলিম হা/১৬৭৮-১৬৭৯ ও ১৬৮৪, ১/২৪৭ পৃঃ,
(ইফাবা হা/১৫১৪ ও
১৫২১) ‘মুসাফিরদের ছালাত' অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৯; ছহীহ বুখারী হা/৬৬৩, ১/৯১ পৃঃ, (ইফাবা হা/৬৩০, ২/৬৪ পৃঃ) ‘আযান অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৩৮; মিশকাত হা/১০৫৮, পৃঃ ৯৬; বঙ্গানুবাদ মিশকাত
হা/৯৯১, ৩/৪৬ পৃঃ, ‘জামাআত ও তার
ফযীলত’ অনুচ্ছেদ।
৪৪৬.
আবুদাউদ হা/১২৬৭,
১/১৮০ পৃঃ; মিশকাত হা/১০৪৪, পৃঃ ৯৫ সনদ ছহীহ;
বঙ্গানুবাদ
মিশকাত হা/৯৭৭,
৩/৪০ পৃঃ, ছালাতের নিষিদ্ধ সময়’ অনুচ্ছেদ।
৪৪৭.
ছহীহ মুসলিম হা/১০০২,
‘ছালাত' অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-২৮; মিশকাত হা/১০৮৯,
‘কাতার সােজা করা' অনুচ্ছেদ।
৪৪৮.
ছহীহ বুখারী হা/৪৭১,
১/৬৮ পৃঃ।।
৪৪৯.
ছহীহ বুখারী হা/৪৭০,
১/৬৭ পৃঃ; মিশকাত হা/৭৪৪; বঙ্গানুবাদ মিশকাত
হা/৬৮৮, ২/২৩০ পৃঃ, ‘মসজিদ সমূহ’ অনুচ্ছেদ।
৪৫০, ছহীহ মুসলিম হা/১২৮৮; মিশকাত হা/৭০৬; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৬৫৪, ২/২১৮ পৃঃ।
৪৫১.
তিরমিযী হা/৯৮৬,
১/১৯২ পৃঃ; ইবনু মাজাহ হা/১৪৭৬, পৃঃ ১০৬, ‘জানাযা | অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১৪, সনদ হাসান।
পাঠকের সুবিধাথে অল্প
কিছু লেখা দিয়েছি। তাতে আপনাদের পড়তে সুবিধা হবে।
চলবে...........
Post a Comment