বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

সালাতের  সময়

 

ফজর সালাতের  সঠিক সময় :

রাসূল (সা.) কোন্ সময় ফজরের সালাত আদায় করতেন, তা নিম্নের হাদীছগুলোতে 

বর্ণিত হয়েছে।


(১) আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (সা.) ফজরের সালাত আদায় করতেন। অতঃপর 

মহিলারা চাদর মুড়ি দিয়ে ঘরে ফিরত। কিন্তু অন্ধকারের কারণে তাদেরকে চেনা যেত 

না।


(২) আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূল (সা.) অন্ধকারে ফজরের সালাত আদায় 

করতেন। 

অতঃপর মুমিন মহিলারা সালাত শেষ করে চলে যেত। কিন্তু অন্ধকারের কারণে 

তাদেরকে চেনা যেত না অথবা পরস্পরকে তারা চিনতে পারত না।


(৩) আয়েশা (রাঃ) বলেন, মুমিন মহিলারা চাদর আবৃত হয়ে রাসূল (সা.)-এর সাথে 

ফজরের সালাতে উপস্থিত হত। 

অতঃপর যখন সালাত শেষ হত, তখন তারা তাদের বাড়ীতে ফিরে যেত। কিন্তু 

অন্ধকারের কারণে তাদেরকে কেউ চিনতে পারত না।


(৪) আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) যোহরের সালাত আদায় করতেন যখন সূর্য ঢুলে যেত। 

আর আছরের সালাত আদায় করতেন এই দুই সময়ের মাঝখানে। 

যখন সূর্য ডুবে যেত তখন মাগরিবের সালাত আদায় করতেন। 

আর শাফাক্ব ডুবে গেলে এশার সালাত আদায় করতেন। 

ফজরের সালাত আদায় করতেন যখন ফজর উদিত হত তখন থেকে দৃষ্টি প্রসারিত হওয়া 

পর্যন্ত।


(৫) মুহাম্মাদ ইবনু আমর (রাঃ) বলেন, আমরা একদা জাবের (রাঃ)-কে রাসূল (সা.)-এর 

সালাতের ওয়াক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। 

তিনি বললেন, তিনি দুপুরে যোহরের সালাত পড়তেন, আছর পড়তেন যখন সূর্য পরিষ্কার 

থাকত, সূর্য ডুবে গেলে মাগরিব পড়তেন। 

আর এশা পড়তেন যখন মানুষ বেশী হত তখন তাড়াতাড়ি পড়তেন এবং লোক কম হলে 

দেরীতে পড়তেন। আর ফজর সালাত আদায় করতেন অন্ধকারে।অন্য বর্ণনায় রয়েছে,


(৬) রাসূল (সা.) ফজরের সালাত এমন সময় পড়তেন, যখন আমাদের কেউ পার্শ্বে বসা 

ব্যক্তিকে চিনতে পারত না, যাকে সে আগে থেকেই চিনে। 

তিনি ফজর সালাতে ৬০ থেকে ১০০টি আয়াত তেলাওয়াত করতেন।অন্য হাদীছে এসেছে,


(৭) রাসূল (সা.) ফজরের সালাত একবার অন্ধকারে পড়েছিলেন। অতঃপর একবার 

পড়তে পড়তে ফর্সা করে দিয়েছিলেন। 

এরপর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত রাসূল (সা.)-এর সালাত ছিল অন্ধকারে। তিনি আর ফর্সা 

করতেন না।অর্থাৎ তিনি সালাত অধিক লম্বা করতেন না।

 

উক্ত হাদীছ প্রমাণ করে যে, একবার তিনি দীর্ঘ ক্বিরাআত করে ফর্সা করেছিলেন। যা 

সর্বাধিক উত্তম। এরপর থেকে অন্ধকার থাকতেই সালাত শেষ করতেন।

 

সুধী পাঠক! উপরের আলোচনায় স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, ফজরের সালাত অন্ধকারেই আদায় 

করতে হবে। 

তাই ফর্সা হওয়ার পর ফজরের সালাত শুরু করা সুন্নাতের বিরুদ্ধাচরণ করা ছাড়া কিছু 

নয়। জানা আবশ্যক যে, ফজরের সালাত একটি গুরুত্বপূর্ণ সালাত। 

এই সালাত সঠিক সময়ে আদায় করা প্রত্যেকের জন্যই অপরিহার্য। তাই আপনি একজন 

মুছল্লী হিসাবে আপনার করণীয় নির্ধারণ করুন। 

আল্লাহর কাছে জবাব দেয়ার প্রস্ত্ততি আপনিই গ্রহণ করুন।

 

৪৭২. ছহীহ বুখারী হা/৮৭২, ১/১২০ পৃঃ, (ইফাবা হা/৮৩০, ২/১৬৩ পৃঃ); নাসাঈ হা/৫৫২

১/৬৫ পৃঃ, ‘ছালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-২৯; মুসনাদে আহমাদ হা/১২৩৩৩ 

ও ১২৭৪৬।

৪৭৩. ছহীহ বুখারী হা/৫৫৬, ১/৭৯ পৃঃ, (ইফাবা হা/৫২৯, ২/১৮ পৃঃ) ও হা/৫৭৯; মুসলিম হা/

১৪০৪; মিশকাত হা/৬০১, পৃঃ ৬১।

৪৭৪. ছহীহ আবুদাঊদ হা/৪২৬, ১/৬১ পৃঃ; তিরমিযী হা/১৭০, ১/৪২ পৃঃ; সনদ ছহীহ

মিশকাত হা/৬০৭, পৃঃ ৬১; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৫৫৯, ২/১৭৯ পৃঃ।

৪৭৫. শারহুস সুন্নাহ ১/৯৫ পৃঃ।

৪৭৬. সিলসিলা যঈফাহ হা/৯৫৫, ২/৩৭১ এবং হা/৫৪৪০, ১১/৭৪৬ পৃঃ।

৪৭৭. তিরমিযী হা/১৫৪, ১/৪০ পৃঃ; আবুদাঊদ হা/৪২৪, ১/৬১ পৃঃ; সিলসিলা ছহীহাহ হা/

১১১৫; ছহীহুল জামে হা/৯৭০; মিশকাত হা/৬১৪, পৃঃ ৬১; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৫৬৫

২/১৮১ পৃঃ, ‘জলদি ছালাত আদায় করা অনুচ্ছেদ।

৪৭৮. সিলসিলা যঈফাহ হা/৪৬৯৪ ও ৩৭৬৮।

৪৭৯. মুসনাদে ত্বায়ালীসী হা/৯১, সনদ ছহীহ; ইরওয়াউল গালীল ১/২৮৬ পৃঃ।

৪৮০. ইরওয়াউল গালীল ১/২৮৬ পৃঃ।

৪৮১. হেদায়া ১/৮০ পৃঃ।

৪৮২. হেদায়া ১/৮২ পৃঃ।

৪৮৩. তিরমিযী হা/১৫৪-এর আলোচনা দ্রঃ, ১/৪০ পৃঃ।

৪৮৪. ত্বাহাবী হা/১০০৬।

৪৮৫. ইরওয়াউল গালীল ১ম খন্ড, পৃঃ ২৮৬।

৪৮৬. ছহীহ বুখারী হা/৫৪১, ১/৭৭ পৃঃ, ‘ছালাতের সময় অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১১, (ইফাবা 

হা/৫১৪, ২/১২ পৃঃ); ছহীহ মুসলিম হা/১০৫৯, ১/১৮৭ পৃঃ ছালাত অধ্যায়, ‘ফজর ছালাতে 

ক্বিরাআত অনুচ্ছেদ-৩৫; ছহীহ আবুদাঊদ হা/৩৯৮, ১/৫৮ পৃঃ।

৪৮৭. মুত্তাফাক্ব আলাইহ, ছহীহ বুখারী হা/৮৬৭, ১/১২০ পৃঃ, (ইফাবা হা/৮২৫, ২/১৬১ 

পৃঃ)মুসলিম হা/১৪৮৯ ও ১৪৯১, ১/২৩০ পৃঃ; মিশকাত হা/৫৯৮; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/

৫৫০, ২/১৭৬ পৃঃ।

৪৮৮. ছহীহ বুখারী হা/৮৭২, ১/১২০ পৃঃ, (ইফাবা হা/৮৩০, ২/১৬৩ পৃঃ)।

৪৮৯. ছহীহ বুখারী হা/৫৭৮, ১/৮২ পৃঃ, ‘ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়, ‘ফজরের ওয়াক্ত 

অনুচ্ছেদ-২৭, (ইফাবা হা/৫৫১, ২/২৮ পৃঃ)।

৪৯০. নাসাঈ হা/৫৫২, ১/৬৫ পৃঃ, ‘ছালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-২৯; মুসনাদে 

আহমাদ হা/১২৩৩৩ ও ১২৭৪৬।

৪৯১. ছহীহ আবুদাঊদ হা/৩৯৭, ১/৫৮ পৃঃ।

৪৯২. ছহীহ বুখারী হা/৫৪১, ১/৭৭ পৃঃ, ‘ছালাতের সময় অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১১, (ইফাবা হা/

৫১৪, ২/১২ পৃঃ); ছহীহ মুসলিম হা/১০৫৯, ১/১৮৭ পৃঃ ছালাত অধ্যায়, ‘ফজর ছালাতে 

ক্বিরাআত অনুচ্ছেদ-৩৫; ছহীহ আবুদাঊদ হা/৩৯৮, ১/৫৮ পৃঃ।

৪৯৩. ছহীহ আবুদাঊদ হা/৩৯৪, ১/৫৮ পৃঃ।

 

পাঠকের সুবিধাথে অল্প কিছু লেখা দিয়েছি। তাতে আপনাদের পড়তে সুবিধা হবে।

চলবে...........

 

 


Post a Comment

أحدث أقدم

সূরা ফাতিহা

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন সালাত আদায় করল অথচ সূরা ফাতিহা পাঠ করল না, তার সালাত অসম্পূর্ণ রয়ে গেল।

এ কথাটি তিনি তিনবার বলেন। তখন আবু হুরায়রাকে জিজ্ঞেস করা হল, আমরা যখন ইমামের পিছনে থাকি? উত্তরে তিনি বললেন, তুমি চুপে চুপে পড়।

কেননা আমি রাসূল (সা.) -কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আমি সালাতকে আমার মাঝে ও আমার বান্দার মাঝে দুই ভাগে ভাগ করেছি।

আমার বান্দার জন্য সেই অংশ যা সে চাইবে। বান্দা যখন বলে, ‘আল-হামদুলিল্লা-হি রাবিবল ‘আলামীন’ (যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি জগৎ সমূহের প্রতিপালক)। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করল। বান্দা যখন বলে, ‘আর-রহমা-নির রহীম’ (যিনি করুণাময়, পরম দয়ালু)।

তখন আল্লাহ বলেন, বান্দা আমার গুণগান করল। বান্দা যখন বলে, ‘মা-লিকি ইয়াওমিদ্দ্বীন’ (যিনি বিচার দিবসের মালিক) তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমাকে সম্মান প্রদর্শন করল। বান্দা যখন বলে, ইয়্যা-কানা‘বুদু ওয়া ইয়্যা-কানাসতাঈন (আমরা কেবল আপনারই ইবাদত করি এবং আপনার নিকটই সাহায্য প্রার্থনা করি)।

তখন আল্লাহ বলেন, এটা আমার ও আমার বান্দার মাঝে আধাআধি ভাগ (অর্থাৎ ইবাদত আমার জন্য আর প্রার্থনা বান্দার জন্য) এবং আমার বান্দার জন্য সেই অংশ রয়েছে, যা সে চাইবে।

যখন বান্দা বলে, ‘ইহদিনাছ ছিরাত্বাল মুস্তাক্বীম, ছিরা-ত্বল্লাযীনা আন‘আমতা ‘আলায়হিম, গয়রিল মাগযূবি ‘আলায়হিম ওয়ালায য-ল্লীন (আপনি আমাদের সরল পথ প্রদর্শন করুন।

তাদের পথ যাদের উপর আপনি রহম করেছেন। তাদের পথ নয় যারা অভিশপ্ত এবং পথভ্রষ্ট)। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা যা চেয়েছে তা তার জন্য’। (আমীন)।

দশটি সূরা এবং তার উচ্চারণ ও অনুবাদ

() সূরা নাস


قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ () مَلِكِ النَّاسِ () إِلهِ النَّاسِ () مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ () اَلَّذِيْ يُوَسْوِسُ فِي صُدُوْرِ النَّاسِ ()مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ ()

উচ্চারণ:- ক্বুল আঊযু বিরব্বিন্না-স। মালিকিন্না-স। ইলা-হিন্না-স। মিন্শার্রিল অসওয়া-সিল খান্না-স। আল্লাযী ইউওয়াসবিসু ফী সুদূরিন্না-স। মিনাল জিন্নাতি অন্না-

অর্থ:- তুমি বল, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি, মানুষের প্রতিপালক, মানুষের অধীশ্বর, মানুষের উপাস্যের কাছে- তার কুমন্ত্রণার অনিষ্ট হতে, যে সুযোগমত আসে (কুমন্ত্রণা দিয়ে) সরে পড়ে। যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের হৃদয়ে, জিন মানুষের মধ্য হতে

() সূরা ফালাক্ব


قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ () مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ () وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ () وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ () وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَاحَسَدَ ()

উচ্চারণ:- ক্বুল আঊযু বিরব্বিল ফালাক্ব। মিন শার্রি মা খালাক্ব। অমিন শার্রি গা-সিক্বিন ইযা অক্বাব। অমিন শার্রিন্নাফ্ফা-ষা-তি ফিল উক্বাদ। অমিন শার্রিহা-সিদিন ইযাহাসাদ

অর্থ:- তুমি বল, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি ঊষার প্রভুর নিকট। তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে। এবং রাতের অনিষ্ট হতে যখন তা গভীর অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়। এবং গ্রন্থিতে ফুত্কারিণী (যাদুকরী)দের অনিষ্ট হতে। এবং হিংসুকের অনিষ্ট হতে যখন সে হিংসা করে

() সূরা ইখলাস


قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ () اَللهُ الصَّمَدُ () لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ () وَلَمْ يَكُنْ لَّهُ كُفُواً أَحَدٌ ()

উচ্চারণ:- ক্বুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ। আল্লা-হুস সামাদ। লাম য়্যালিদ, অলাম ইউলাদ। অলাম য়্যাকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ

অর্থ:- বল, তিনি আল্লাহ একক। আল্লাহ ভরসাস্থল। তিনি জনক নন এবং জাতকও নন। আর তাঁর সমকক্ষ কেউই নেই

() সূরা লাহাব


تَبَّتْ يَدَا أَبِيْ لَهَبٍ وَّتَبَّ () مَا أَغْنى عَنْهُ مَالُهُ وَمَا كَسَبَ () سَيَصْلى نَاراً ذَاتَ لَهَبٍ () وَامْرَأَتُهُ حَمَّالَةَ الْحَطَبِ () فِيْ جِيْدِهَا حَبْلٌ مِّنْ مَّسَدٍ ()

উচ্চারণ:- তাব্বাৎ য়্যাদা আবী লাহাবিঁউঅতাব্ব মা আগনা আনহু মা-লুহু অমা কাসাব। সায়্যাস্বলা না-রান যা-তা লাহাব। অমরাআতুহুহাম্মা-লাতালহাত্বাব। ফী জীদিহাহাবলুম মিম মাসাদ

অর্থ:- ধ্বংস হোক আবূ লাহাবের দুইহাত এবং ধ্বংস হোক সে নিজেও। তার ধন-সম্পদ উপর্জিত বস্তু তার কোন উপকারে আসবে না। সে প্রবেশ করবে লেলিহান শিখাবিশিষ্ট অগ্নিকুন্ডে। আর তার স্ত্রীও -যে কাঠের বোঝা বহনকারিণী। ওর গলদেশে খেজুর চোকার রশি হবে

() সূরা নাস্বর


إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللهِ وَالْفَتْحُ () وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُوْنَ فِيْ دِيْنِ اللهِ أَفْوَاجاً () فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُإِنَّهُ كَانَ تَوَّاباً ()

উচ্চারণ:- ইযা জা- নাস্বরুল্লা-হি অল ফাতহ। অরাআইতান্না-সা ইয়্যাদখুলুনা ফী দীনিল্লা-হি আফওয়াজা। ফাসাব্বিহ্বিহামদি রাব্বিকা অস্তাগফিরহু; ইন্নাহু কা-না তাউওয়া-বা

অর্থ:- যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য বিজয়। তুমি দেখবে মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে। তখন তুমি তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা কর এবং তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল

() সূরা কা-ফিরুন


قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُوْنَ () لاَ أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُوْنَ () وَلاَ أَنْتُمْ عَابِدُوْنَ مَا أَعْبُدُ () وَلاَ أَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدْتُّمْ () وَلاَ أَنْتُمْ عَابِدُوْنَ مَا أَعْبُدُ () لَكُمْ دِيْنُكُمْ وَلِيَ دِيْنِ ()

উচ্চারণ:- ক্বুল ইয়া আই য়ুহাল কা-ফিরুন। লা- বুদু মা- তাবুদূন। অলা- আন্তুম ’-বিদূনা মা- বুদ। অলা- আনা ’-বিদুম মা বাত্তুম। অলা- আন্তুম ’-বিদূনা মা- বুদ। লাকুম দীনুকুম অলিয়া দীন

অর্থ:- বল, হে কাফের দল! আমি তার উপাসনা করি না, যার উপাসনা তোমরা কর। তোমরাও তাঁর উপাসক নও, যাঁর উপাসনা আমি করি। আমি তার উপাসক হ্ না, যার উপাসনা তোমরা কর। আর তোমরাও তাঁর উপাসক নও, যাঁর উপাসনা আমি করি। তোমাদের ধর্ম তোমাদের এবং আমার ধর্ম আমার (কাছে প্রিয়)

() সূরা কাউষার


إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ () فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ () إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الأَبْتَرُ ()

উচ্চারণ:- ইন্না- ত্বাইনা-কাল কাউষার। ফাস্বাল্লি লিরব্বিকা অন্হার। ইন্না- শা-নিআকা হুওয়াল আবতার

অর্থ:- নিঃসন্দেহে আমি তোমাকে কাউসার (হাওয) দান করেছি। সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে নামায পড় এবং কুরবানী কর। নিশ্চয় তোমার শত্রুই হল নির্বংশ

() সূরা ক্বুরাইশ


لإِيْلاَفِ قُرَيْشٍ () إِيْلاَفِهِمْ رِحْلَةَ الشِّتَاءِ وَالصَّيْفِ () فَلْيَعْبُدُوْا رَبَّ هذَا الْبَيْتِ () اَلَّذِيْ أَطْعَمَهُمْ مِنْجُوْعٍ وَّآمَنَهُمْ مِّنْ خَوْفٍ ()

উচ্চারণ:- লিঈলা-ফি ক্বুরাইশ্ঈলা-ফিহিম রিহ্লাতাশ শিতা- অস্স্বাইফ্ফাল য়্যাবুদু রব্বাহা-যাল বাইত্ আল্লাযী আত্বআমাহুম মিন জু অআ-মানাহুম মিন খাঊফ

অর্থ:- যেহেতু কুরাইশের জন্য শীত গ্রীষ্মের সফরকে তাদের স্বভাব সুলভ করা হয়েছে, সেহেতু ওরা উপাসনা করুক এই গৃহের রক্ষকের। যিনি ক্ষুধায় ওদেরকে আহার দিয়েছেন এবং ভীতি হতে নিরাপদ করেছেন

() সূরা ফীল


أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِأَصْحَابِ الْفِيْلِ () أَلَمْ يَجْعَلْ كَيْدَهُمْ فِيْ تَضْلِيْلٍ () وَأَرْسَلَ عَلَيْهِمْ طَيْراً أَبَابِيْلَ () تَرْمِيْهِمْ بِحِجَارَةٍ مِّنْ سِجِّيْلٍ () فَجَعَلَهُمْ كَعَصْفٍ مَّأْكُوْلٍ ()

উচ্চারণ:- আলাম তারা কাইফা ফাআলা রব্বুকা বিআস্বহা-বিল ফীল। আলাম য়্যাজ্আল কাইদাহুম ফী তায্বলীল। অআরসালা আলাইহিম ত্বাইরান আবা-বিল। তারমীহিম বিহিজারাতিম মিন সিজ্জীল। ফাজাআলাহুম কাআস্বফিম মাকূল

অর্থ:- তুমি কি দেখ নি, তোমার প্রতিপালক হ্স্তীবাহিনীর সঙ্গে কি করেছিলেন? তিনি কি ওদের কৌশলকে ব্যর্থ করে দেন নি? তিনি তাদের উপর ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি প্রেরণ করেন। যারা ওদের উপর নিক্ষেপ করে কঙ্কর। অতঃপর তিনি ওদেরকে ভক্ষিত তৃণসদৃশ করে দেন

(১০) সূরা আসর


وَالْعَصْرِ () إِنَّ الإِنْسَانَ لَفِيْ خُسْرٍ () إِلاَّ الَّذِيْنَ آمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ ()

উচ্চারণ:- অল আসর। ইন্নাল ইনসা-না লাফী খু সর। ইল্লাল্লাযীনা -মানূ অআমিলুস স্বা-লিহা-তি অতাওয়াস্বাউবিলহাক্বি অতাওয়াস্বাউবিসস্বাবর

অর্থ:- মহাকালের শপথ! মানুষ অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত। তবে তারা নয়, যারা ঈমান এনে সৎকর্ম করেছে এবং একে অপরকে সত্য ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে