বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

সালাতের সময়


আছরের সালাতের সঠিক সময় :

কোন বস্ত্তর ছায়া যখন মূল ছায়ার সমপরিমাণ হবে তখন আছরের সালাতের সময় শুরু 

হবে। আর দ্বিগুণ হলে শেষ হবে। 

তবে কোন সমস্যাজনিত কারণে সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত পড়া যাবে।





(ক) আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (সা.) আছরের সালাত তখন পড়তেন, যখন সূর্য 

উঁচুতে উজ্জ্বল অবস্থায় থাকত। 

অতঃপর কেউ আওয়ালী বা উঁচু স্থানগুলোর দিকে যেত এবং পুনরায় তাদের নিকট ফিরে 

আসত, তখনও সূর্য উপরেই থাকত। 


আর আওয়ালীর কোন কোন স্থান মদ্বীনা হতে চার মাইল বা অনুরূপ দূরে অবস্থিত।


আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, যখন সূর্য তার ঘরের মধ্যে থাকত তখন রাসূল (সা.) 

আছর পড়তেন। তখনো ছায়া ঘর থেকে বের হয়ে যায়নি।


(খ) রাফে ইবনু খাদীজ (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূল (সা.)-এর সাথে আছরের সালাত 

আদায় করতাম। 

অতঃপর একটি উট যবহে করতাম। তারপর তাকে দশ ভাগে ভাগ করতাম। অতঃপর সূর্য 

অস্ত যাওয়ার পূর্বেই আমরা তার পাক করা গোশত খেতাম ।


(গ) আলা ইবনু আব্দুর রহমান বছরাতে একদিন যোহরের সালাত আদায় করে ফেরার 

সময় আনাস ইবনু মালেক (রাঃ)-এর বাড়ীতে গেলেন। 


আর মসজিদের পার্শ্বেই তার বাড়ী ছিল। রাবী বলেন, আমরা যখন তার কাছে গেলাম

তখন তিনি বললেন, তোমরা কি আছরের সালাত আদায় করেছ


আমরা বললাম, এই মাত্র আমরা যোহরের সালাত আদায় করে আসলাম। তিনি বললেন

তোমরা আছরের সালাত আদায় করে নাও। 


অতঃপর আমরা চলে গেলাম এবং সালাত আদায় করলাম। আমরা যখন ফিরে আসলাম 

তখন তিনি বললেন, এটা হল মুনাফিকের সালাত। 


সে বসে বসে অপেক্ষায় থাকে। যখন সূর্য লাল হতে থাকে এমনকি শয়তানের দুই শিংয়ের 

মাঝে যায়, তখন সে দাঁড়ায় এবং চারটি ঠোকর মারে। 

সে আল্লাহকে খুব কমই স্মরণ করে।


(ঘ) ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জিবরীল (আঃ) কাবার 

নিকট দুইবার আমার ইমামতি করেছেন। 


একবার তিনি আমাকে যোহর পড়ালেন যখন সূর্য ঢুলে পড়ল। আর তা ছিল জুতার 

দোয়ালির পরিমাণ। 


আছর পড়ালেন, যখন প্রত্যেক বস্ত্তর ছায়া তার একগুণ হল। মাগরিব পড়ালেন যখন 

ছায়েম ইফতার করে। 


আর এশা পড়ালেন যখন লালিমা দূর হল। ফজর পড়ালেন যখন ছায়েম ব্যক্তির উপর 

খানাপিনা হারাম হয় (সাহারীর সময়ের পর)।

 

পরের দিন তিনি আমাকে যোহর পড়ালেন, যখন প্রত্যেক বস্ত্তর ছায়া তার একগুণ হল। 

আর আছর পড়ালেন যখন প্রত্যেক বস্ত্তর ছায়া তার দ্বিগুণ হল। 


মাগরিব পড়ালেন যখন ছায়েম ব্যক্তি ইফতার করে। এশা পড়ালেন যখন রাত্রের এক-

তৃতীয়াংশ পূর্ণ হল। 


অবশেষে ফজর পড়ালেন এবং খুব ফর্সা করে ফেললেন। অতঃপর তিনি আমার প্রতি লক্ষ্য 

করে বললেন, হে মুহাম্মাদ (সা.)! ইহা আপনার পূর্বের নবীগণের সময়। 


সালাতের সময় আসলে এই দুই সময়ের মাঝের সময়।অন্য হাদীছে এসেছে, সর্বোত্তম আমল 

হল, আউয়াল ওয়াক্তে সালাত আদায় করা।

 

জ্ঞাতব্য : 

জিবরীল (আঃ)-এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা রাসূল (সা.)-কে সালাতের 

আউয়াল ও আখের দুইটি ওয়াক্ত সম্পর্কে জানিয়েছেন। 


এর দ্বারা প্রমাণিত হল যে, বস্ত্তর ছায়া তার দ্বিগুণ হলে আছরের সালাতের শেষ ওয়াক্ত 

চলে আসে। 


অথচ অধিকাংশ মুছল্লী এই শেষ ওয়াক্তে আছরের সালাত আদায় করে থাকে, যা রাসূল 

(সা.)-এর ভাষায় গর্হিত অন্যায়।

 

সুধী পাঠক! উপরে ত্রুটিপূর্ণ হাদীছ এবং ছহীহ হাদীছ দুই ধরনের হাদীছই পেশ করা হল। 

নিঃসন্দেহে মুছল্লীর সামনে পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, আছর সালাত সে কোন্ ওয়াক্তে আদায় 

করবে। 


বিশেষ করে ছাহাবায়ে কেরাম বিভিন্ন উদাহরণ, পদ্ধতি ও জায়গা উল্লেখ করে আছরের 

সালাতের সময়টা বুঝানোর চেষ্টা করেছেন। 


অথচ কতিপয় যঈফ ও জাল হাদীছের কারণে উক্ত গুরুত্ব মূল্যহীন হয়ে গেছে। এরপরও 

যদি সে রাসূল (সা.)-এর আদর্শকে গ্রহণ না করে, তবে কবরে ও ক্বিয়ামতের মাঠে 

টিকতে পারবে কি


মনে রাখা আবশ্যক যে, রাসূল (সা.)-এর আগমনের পর পূর্বের কোন নবী-রাসূলের 

আনুগত্য করলেও সে পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে। 


পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের উপস্থিতিতে যদি পূর্বে কোন নাযিলকৃত কিতাবের 

অনুসরণ করা হয় তবুও সে রাসূল (সা.)-এর উম্মত থেকে বেরিয়ে যাবে।


অতএব পীর-ফকীর, ইমাম-খতীব এবং তাদের রচিত মনগড়া কল্পিত ধর্মের অনুসরণ 

করলে পরিণাম ভয়াবহ হবে।

 

৫১৩. আব্দুর রাযযাক হা/২০৮৯; ত্বাবারাণী কাবীর ৯/২৯৬।

 

৫১৪. তানকীহুল কালাম, পৃঃ ২৬৬; তুহফাতুল আহওয়াযী ১/৪১৮ পৃঃ, হা/১৫৯।

 

৫১৫. আবুদাঊদ হা/৪০৮, ১/৫৯ পৃঃ।

 

৫১৬. যঈফ আবুদাঊদ হা/৪০৮।

 

৫১৭. আবুদাঊদ হা/৪১৫, ১/৬০ পৃঃ।

 

৫১৮. যঈফ আবুদাঊদ হা/৬৪।

 

৫১৯. ছহীহ বুখারী হা/৫৫৬, ১/৭৯ পৃঃ ও হা/৫৭৯; মুসলিম হা/১৪০৪; মিশকাত হা/৬০১।

 

৫২০. মুত্তাফাক্ব আলাইহ, বুখারী হা/৫৫০, ১/৭৮ পৃঃ, (ইফাবা হা/৫২৪, ২/১৬ পৃঃ); মিশকাত হা/৫৯২, পৃঃ ৬০; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৫৪৪, ২/১৭৪ পৃঃ, ‘জলদি ছালাত আদায় করা অনুচ্ছেদ।


৫২১. বুখারী হা/৫৪৫, ১/৭৮ পৃঃ, (ইফাবা হা/৫১৮, ২/১৩ পৃঃ)।


৫২২. মুত্তাফাক্ব আলাইহ, ছহীহ বুখারী হা/২৪৮৫, ১/৩৩৮ পৃঃ; ছহীহ মুসলিম হা/১৪৪৬, ১/২২৫ পৃঃ (ইফাবা হা/১২৮৯); মিশকাত হা/৬১৫; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৫৬৬।

 

৫২৩. ছহীহ মুসলিম হা/১৪৪৩, ১/২২৫ পৃঃ, (ইফাবা হা/১২৮৬) মসজিদ সমূহ অধ্যায়-৬, ‘জলদি করে আছর পড়া অনুচ্ছেদ-৩৫; মিশকাত হা/৫৯৩, পৃঃ ৬০; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৫৪৫, ২/১৭৫ পৃঃ।

 

৫২৪. ছহীহ আবুদাঊদ হা/৩৯৩, ১/৫৬ পৃঃ, ‘ছালাত অধ্যায়-২, ‘ওয়াক্ত সমূহ অনুচ্ছেদ-২; ছহীহ তিরমিযী হা/১৪৯, ১/৩৮ পৃঃ; মিশকাত হা/৫৮৩; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৫৩৬, ২/১৬৯ পৃঃ।


৫২৫. ছহীহ আবুদাঊদ হা/৪২৬, ১/৬১ পৃঃ; তিরমিযী হা/১৭০, ১/৪২ পৃঃ; সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/৬০৭; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৫৫৯, ২/১৭৯ পৃঃ।

 

পাঠকের সুবিধাথে অল্প কিছু লেখা দিয়েছি। তাতে আপনাদের পড়তে সুবিধা হবে।

চলবে...........

 

 


1 تعليقات

إرسال تعليق

أحدث أقدم

সূরা ফাতিহা

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন সালাত আদায় করল অথচ সূরা ফাতিহা পাঠ করল না, তার সালাত অসম্পূর্ণ রয়ে গেল।

এ কথাটি তিনি তিনবার বলেন। তখন আবু হুরায়রাকে জিজ্ঞেস করা হল, আমরা যখন ইমামের পিছনে থাকি? উত্তরে তিনি বললেন, তুমি চুপে চুপে পড়।

কেননা আমি রাসূল (সা.) -কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আমি সালাতকে আমার মাঝে ও আমার বান্দার মাঝে দুই ভাগে ভাগ করেছি।

আমার বান্দার জন্য সেই অংশ যা সে চাইবে। বান্দা যখন বলে, ‘আল-হামদুলিল্লা-হি রাবিবল ‘আলামীন’ (যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি জগৎ সমূহের প্রতিপালক)। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করল। বান্দা যখন বলে, ‘আর-রহমা-নির রহীম’ (যিনি করুণাময়, পরম দয়ালু)।

তখন আল্লাহ বলেন, বান্দা আমার গুণগান করল। বান্দা যখন বলে, ‘মা-লিকি ইয়াওমিদ্দ্বীন’ (যিনি বিচার দিবসের মালিক) তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমাকে সম্মান প্রদর্শন করল। বান্দা যখন বলে, ইয়্যা-কানা‘বুদু ওয়া ইয়্যা-কানাসতাঈন (আমরা কেবল আপনারই ইবাদত করি এবং আপনার নিকটই সাহায্য প্রার্থনা করি)।

তখন আল্লাহ বলেন, এটা আমার ও আমার বান্দার মাঝে আধাআধি ভাগ (অর্থাৎ ইবাদত আমার জন্য আর প্রার্থনা বান্দার জন্য) এবং আমার বান্দার জন্য সেই অংশ রয়েছে, যা সে চাইবে।

যখন বান্দা বলে, ‘ইহদিনাছ ছিরাত্বাল মুস্তাক্বীম, ছিরা-ত্বল্লাযীনা আন‘আমতা ‘আলায়হিম, গয়রিল মাগযূবি ‘আলায়হিম ওয়ালায য-ল্লীন (আপনি আমাদের সরল পথ প্রদর্শন করুন।

তাদের পথ যাদের উপর আপনি রহম করেছেন। তাদের পথ নয় যারা অভিশপ্ত এবং পথভ্রষ্ট)। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা যা চেয়েছে তা তার জন্য’। (আমীন)।

দশটি সূরা এবং তার উচ্চারণ ও অনুবাদ

() সূরা নাস


قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ () مَلِكِ النَّاسِ () إِلهِ النَّاسِ () مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ () اَلَّذِيْ يُوَسْوِسُ فِي صُدُوْرِ النَّاسِ ()مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ ()

উচ্চারণ:- ক্বুল আঊযু বিরব্বিন্না-স। মালিকিন্না-স। ইলা-হিন্না-স। মিন্শার্রিল অসওয়া-সিল খান্না-স। আল্লাযী ইউওয়াসবিসু ফী সুদূরিন্না-স। মিনাল জিন্নাতি অন্না-

অর্থ:- তুমি বল, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি, মানুষের প্রতিপালক, মানুষের অধীশ্বর, মানুষের উপাস্যের কাছে- তার কুমন্ত্রণার অনিষ্ট হতে, যে সুযোগমত আসে (কুমন্ত্রণা দিয়ে) সরে পড়ে। যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের হৃদয়ে, জিন মানুষের মধ্য হতে

() সূরা ফালাক্ব


قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ () مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ () وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ () وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ () وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَاحَسَدَ ()

উচ্চারণ:- ক্বুল আঊযু বিরব্বিল ফালাক্ব। মিন শার্রি মা খালাক্ব। অমিন শার্রি গা-সিক্বিন ইযা অক্বাব। অমিন শার্রিন্নাফ্ফা-ষা-তি ফিল উক্বাদ। অমিন শার্রিহা-সিদিন ইযাহাসাদ

অর্থ:- তুমি বল, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি ঊষার প্রভুর নিকট। তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে। এবং রাতের অনিষ্ট হতে যখন তা গভীর অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়। এবং গ্রন্থিতে ফুত্কারিণী (যাদুকরী)দের অনিষ্ট হতে। এবং হিংসুকের অনিষ্ট হতে যখন সে হিংসা করে

() সূরা ইখলাস


قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ () اَللهُ الصَّمَدُ () لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ () وَلَمْ يَكُنْ لَّهُ كُفُواً أَحَدٌ ()

উচ্চারণ:- ক্বুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ। আল্লা-হুস সামাদ। লাম য়্যালিদ, অলাম ইউলাদ। অলাম য়্যাকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ

অর্থ:- বল, তিনি আল্লাহ একক। আল্লাহ ভরসাস্থল। তিনি জনক নন এবং জাতকও নন। আর তাঁর সমকক্ষ কেউই নেই

() সূরা লাহাব


تَبَّتْ يَدَا أَبِيْ لَهَبٍ وَّتَبَّ () مَا أَغْنى عَنْهُ مَالُهُ وَمَا كَسَبَ () سَيَصْلى نَاراً ذَاتَ لَهَبٍ () وَامْرَأَتُهُ حَمَّالَةَ الْحَطَبِ () فِيْ جِيْدِهَا حَبْلٌ مِّنْ مَّسَدٍ ()

উচ্চারণ:- তাব্বাৎ য়্যাদা আবী লাহাবিঁউঅতাব্ব মা আগনা আনহু মা-লুহু অমা কাসাব। সায়্যাস্বলা না-রান যা-তা লাহাব। অমরাআতুহুহাম্মা-লাতালহাত্বাব। ফী জীদিহাহাবলুম মিম মাসাদ

অর্থ:- ধ্বংস হোক আবূ লাহাবের দুইহাত এবং ধ্বংস হোক সে নিজেও। তার ধন-সম্পদ উপর্জিত বস্তু তার কোন উপকারে আসবে না। সে প্রবেশ করবে লেলিহান শিখাবিশিষ্ট অগ্নিকুন্ডে। আর তার স্ত্রীও -যে কাঠের বোঝা বহনকারিণী। ওর গলদেশে খেজুর চোকার রশি হবে

() সূরা নাস্বর


إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللهِ وَالْفَتْحُ () وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُوْنَ فِيْ دِيْنِ اللهِ أَفْوَاجاً () فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُإِنَّهُ كَانَ تَوَّاباً ()

উচ্চারণ:- ইযা জা- নাস্বরুল্লা-হি অল ফাতহ। অরাআইতান্না-সা ইয়্যাদখুলুনা ফী দীনিল্লা-হি আফওয়াজা। ফাসাব্বিহ্বিহামদি রাব্বিকা অস্তাগফিরহু; ইন্নাহু কা-না তাউওয়া-বা

অর্থ:- যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য বিজয়। তুমি দেখবে মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে। তখন তুমি তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা কর এবং তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল

() সূরা কা-ফিরুন


قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُوْنَ () لاَ أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُوْنَ () وَلاَ أَنْتُمْ عَابِدُوْنَ مَا أَعْبُدُ () وَلاَ أَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدْتُّمْ () وَلاَ أَنْتُمْ عَابِدُوْنَ مَا أَعْبُدُ () لَكُمْ دِيْنُكُمْ وَلِيَ دِيْنِ ()

উচ্চারণ:- ক্বুল ইয়া আই য়ুহাল কা-ফিরুন। লা- বুদু মা- তাবুদূন। অলা- আন্তুম ’-বিদূনা মা- বুদ। অলা- আনা ’-বিদুম মা বাত্তুম। অলা- আন্তুম ’-বিদূনা মা- বুদ। লাকুম দীনুকুম অলিয়া দীন

অর্থ:- বল, হে কাফের দল! আমি তার উপাসনা করি না, যার উপাসনা তোমরা কর। তোমরাও তাঁর উপাসক নও, যাঁর উপাসনা আমি করি। আমি তার উপাসক হ্ না, যার উপাসনা তোমরা কর। আর তোমরাও তাঁর উপাসক নও, যাঁর উপাসনা আমি করি। তোমাদের ধর্ম তোমাদের এবং আমার ধর্ম আমার (কাছে প্রিয়)

() সূরা কাউষার


إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ () فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ () إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الأَبْتَرُ ()

উচ্চারণ:- ইন্না- ত্বাইনা-কাল কাউষার। ফাস্বাল্লি লিরব্বিকা অন্হার। ইন্না- শা-নিআকা হুওয়াল আবতার

অর্থ:- নিঃসন্দেহে আমি তোমাকে কাউসার (হাওয) দান করেছি। সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে নামায পড় এবং কুরবানী কর। নিশ্চয় তোমার শত্রুই হল নির্বংশ

() সূরা ক্বুরাইশ


لإِيْلاَفِ قُرَيْشٍ () إِيْلاَفِهِمْ رِحْلَةَ الشِّتَاءِ وَالصَّيْفِ () فَلْيَعْبُدُوْا رَبَّ هذَا الْبَيْتِ () اَلَّذِيْ أَطْعَمَهُمْ مِنْجُوْعٍ وَّآمَنَهُمْ مِّنْ خَوْفٍ ()

উচ্চারণ:- লিঈলা-ফি ক্বুরাইশ্ঈলা-ফিহিম রিহ্লাতাশ শিতা- অস্স্বাইফ্ফাল য়্যাবুদু রব্বাহা-যাল বাইত্ আল্লাযী আত্বআমাহুম মিন জু অআ-মানাহুম মিন খাঊফ

অর্থ:- যেহেতু কুরাইশের জন্য শীত গ্রীষ্মের সফরকে তাদের স্বভাব সুলভ করা হয়েছে, সেহেতু ওরা উপাসনা করুক এই গৃহের রক্ষকের। যিনি ক্ষুধায় ওদেরকে আহার দিয়েছেন এবং ভীতি হতে নিরাপদ করেছেন

() সূরা ফীল


أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِأَصْحَابِ الْفِيْلِ () أَلَمْ يَجْعَلْ كَيْدَهُمْ فِيْ تَضْلِيْلٍ () وَأَرْسَلَ عَلَيْهِمْ طَيْراً أَبَابِيْلَ () تَرْمِيْهِمْ بِحِجَارَةٍ مِّنْ سِجِّيْلٍ () فَجَعَلَهُمْ كَعَصْفٍ مَّأْكُوْلٍ ()

উচ্চারণ:- আলাম তারা কাইফা ফাআলা রব্বুকা বিআস্বহা-বিল ফীল। আলাম য়্যাজ্আল কাইদাহুম ফী তায্বলীল। অআরসালা আলাইহিম ত্বাইরান আবা-বিল। তারমীহিম বিহিজারাতিম মিন সিজ্জীল। ফাজাআলাহুম কাআস্বফিম মাকূল

অর্থ:- তুমি কি দেখ নি, তোমার প্রতিপালক হ্স্তীবাহিনীর সঙ্গে কি করেছিলেন? তিনি কি ওদের কৌশলকে ব্যর্থ করে দেন নি? তিনি তাদের উপর ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি প্রেরণ করেন। যারা ওদের উপর নিক্ষেপ করে কঙ্কর। অতঃপর তিনি ওদেরকে ভক্ষিত তৃণসদৃশ করে দেন

(১০) সূরা আসর


وَالْعَصْرِ () إِنَّ الإِنْسَانَ لَفِيْ خُسْرٍ () إِلاَّ الَّذِيْنَ آمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ ()

উচ্চারণ:- অল আসর। ইন্নাল ইনসা-না লাফী খু সর। ইল্লাল্লাযীনা -মানূ অআমিলুস স্বা-লিহা-তি অতাওয়াস্বাউবিলহাক্বি অতাওয়াস্বাউবিসস্বাবর

অর্থ:- মহাকালের শপথ! মানুষ অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত। তবে তারা নয়, যারা ঈমান এনে সৎকর্ম করেছে এবং একে অপরকে সত্য ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে