বিসমিল্লাহির রহমানির
রহিম
সালাতের সময়
জামা‘আতের চেয়ে আউয়াল ওয়াক্ত বেশী গুরুত্বপূর্ণ :
আবুযার (রাঃ) বলেন, রাসূল (সা.) আমাকে বলেছেন, আমীরগণ যখন সালাতের ওয়াক্ত থেকে সরিয়ে সালাত দেরী করে পড়বে বা সালাতকে তার ওয়াক্ত থেকে মেরে ফেলবে, তখন তুমি কী করবে?
আমি তখন বললাম, আপনি আমাকে কী করতে বলছেন? তখন রাসূল (সা.) বললেন, সালাতের সময়েই সালাত আদায় করে নাও।
অতঃপর তাদের সাথে যদি
আদায় করতে পার, তাহলে আদায় কর।
তবে তা তোমার জন্য নফল হবে।
উক্ববা ইবনু আমের (রাঃ) বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, তোমাদের প্রতিপালক আনন্দিত হন ঐ ছাগলের রাখালের প্রতি, যে একা পর্বত শিখরে দাঁড়িয়ে সালাতের আযান দেয় এবং সালাত আদায় করে।
আল্লাহ তা‘আলা তখন ফেরেশতাগণকে লক্ষ্য করে বলেন, তোমরা আমার বান্দার প্রতি লক্ষ্য কর! সে
আমার ভয়ে আযান দিচ্ছে এবং সালাত আদায় করছে। আমি আমার বান্দাকে ক্ষমা করে দিলাম এবং
তাকে জান্নাতে প্রবেশ করালাম।
সুধী পাঠক! উক্ত কুরআনের আয়াত ও হাদীছ সমূহের মাধ্যমে আউয়াল ওয়াক্তে সালাত আদায়ের গুরুত্ব পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠেছে।
এমনকি জামা‘আতে সালাত আদায়ের চেয়ে ওয়াক্তকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। ওয়াক্ত অনুযায়ী সালাত আদায় করলে আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানোরও অঙ্গীকার করেছেন।
এমনকি কোন রাখালও যদি ওয়াক্ত অনুযায়ী একাকী সালাত আদায় করে, তবুও তাকে ক্ষমা করে দেন এবং জান্নাতে প্রবেশ করান।
অতএব দেরী করে নয়, বরং ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথে সালাত আদায় করা অপরিহার্য। বিশেষ করে রাসূল (ছাঃ) ফজর ও আছর সালাতের ব্যাপারে খুব কঠোরতা আরোপ করেছেন।
অথচ ফজর ও আছর সালাতের ক্ষেত্রেই বেশী অবহেলা করা হয়। এত ছহীহ হাদীছ থাকতে অধিকাংশ মুছল্লী কেন জাল ও যঈফ হাদীছের আলোকে সালাত আদায় করছে?
এটা কি কোন অদৃশ্যের চক্রান্ত? মুসলিম উম্মাহকে কোনদিন ঐক্যবদ্ধ হতে দিবে না- এটাই তার নীল নকশা।
আমরা মুসলিম হিসাবে মাযহাবী গোঁড়ামীকে অগ্রাধিকার দেব, না রাসূল (সা.)-এর আদর্শকে অগ্রাধিকার দেব এখন সেটাই দেখার
বিষয়।
৫৫৭. ছহীহ বুখারী হা/৫৫৪, ১/৭৮ পৃঃ, (ইফাবা হা/৫২৭, ২/১৭ পৃঃ), ‘ছালাতের ওয়াক্ত সমূহ’ অধ্যায়-১৩, ‘আছরের ছালাতের ফযীলত’ অনুচ্ছেদ-১৫।
৫৫৮. ছহীহ আবুদাঊদ হা/৪২৮, ১/৬১ পৃঃ।
৫৫৯. ছহীহ মুসলিম হা/১৪৯৭, ১/২৩০ পৃঃ, (ইফাবা হা/১৩৩৮); মিশকাত হা/৬০০, পৃঃ ৬০-৬১; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৫৫২, ২য় খন্ড, পৃঃ ১৭৭।
৫৬০. আবুদাঊদ হা/১২০৩, ১/১৭০ পৃঃ; নাসাঈ হা/৬৬৬, সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/৬৬৫, পৃঃ ৬৫; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৬১৪, ২/২০২ পৃঃ।
পাঠকের সুবিধাথে অল্প কিছু লেখা দিয়েছি। তাতে আপনাদের পড়তে সুবিধা হবে।
চলবে...........
Post a Comment